অনলাইন ডেস্ক: জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর আঞ্চলিক সদর দপ্তরের সামনে বুধবার নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক কুর্দি। ৩১ বছর বয়সী কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর ওই ব্যক্তি একজন জার্মান অধিবাসী। এ ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিত্সা চলছে বলে জানা গেছে।
তবে তিনি কেন এমন কাজ করলেন তাত্ক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের কারণে কুর্দিরা যে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটে পড়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এমন কাণ্ড করেছেন ওই ব্যক্তি।
এ সম্পর্কে জেনেভা পুলিশের মুখপাত্র সিলভেইন জেনটিল বলেন, ‘তিনি কেন এমন কাজ করেছেন আমরা তা ধারণা করতে পারছি। তবে স্পষ্ট করে এখনো কিছু জানতে পারিনি। ঘটনার পর যখন সাহায্যকারীরা তাকে উদ্ধার করতে যায় তখন তিনি তাদের বলেন যে তিনি কঠিন সময় পার করছেন।’
জেনেভায় ইউএনএইচসিআর-এর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতরের সামনে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পৌঁছান উদ্ধারকর্মীরা। তাকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে পাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। কয়েক দিনের এই অভিযানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) শত শত সদস্য ছাড়াও অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন লাখো মানুষ।
তবে গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ ঘোষণা করে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
যদিও এর আগেই মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিলো তুরস্কের এরদোয়ান সরকার। যুদ্ধবিরতির ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তুর্কি ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।