অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এবারো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ।

১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সামনে নির্মিত হয়েছে অস্থায়ী শহীদ মিনার। ২০১৬ সালে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী প্রদর্শিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য। গত ২৯ বছর ধরে সংগঠন দুটি মহান শহীদ দিবস পালন করে আসছে। এবছর জাতিসংঘের সামনে শহীদ দিবস পালনের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী বিশ্বজিত সাহা।

প্রতিবছরের মতো এবারো জাতিসংঘের সামনে শহীদ বেদীতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পিত হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১:০১ মিনিটে, ঢাকায় যখন একুশের প্রথম প্রহর। প্রবাসী সকল বাঙালিকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউ ইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই পুষ্পাঞ্জলি প্রদানে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিবছরের মতো এবছরো উপস্থিত সর্বকনিষ্ঠ শিশু প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।

পরদিন, অর্থাৎ স্থানীয় সময় ২১ ফেব্রুয়ারি, মুক্তধারার আয়োজনে হবে একুশে স্মরণে বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠান। অনলাইনে প্রচারিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকবে অমর একুশের গান রচিয়তা আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের আলাপচারিতা, একুশ থেকে একাত্তর। লন্ডন থেকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন তিনি।

অনুষ্ঠানের আরো থাকবে ১৯৯২ সাল থেকে গত ৩০ বছর টানা মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ জাতিসংঘের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের যে আয়োজন করেছে তার ওপর ভিত্তি করে একটি প্রামাণ্য চিত্র। আরো থাকবে ‘কৃষ্ণচূড়ার গান’-এর লেখক ও গায়ক তাজুল ইমামের সঙ্গে আলাপচারিতা। থাকবে একুশের কবিতা পাঠ ও সংগীত, অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের বাঙালি শিল্পীরা।

এবছর অনুষ্ঠানের একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে প্রবাসের নবীন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে একুশের কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। অনুষ্ঠানটি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবে সরাসরি দেখা যাবে। বিস্তারিত জানা যাবে: www.nyboimela.org-তে।