অনলাইন ডেস্ক : বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার (এফওসিএসি) ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন। এফওসিএসি শীর্ষ সম্মেলনটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের আয়োজিত বৃহত্তম কূটনৈতিক ইভেন্ট, যেখানে ৫০টিরও বেশি আফ্রিকান নেতাসহ দেশগুলোর তিন হাজার দুইশ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

এবারের চীন-আফ্রিকা সম্মেলনের থিম হলো, ‘আধুনিকীকরণে অগ্রসর হওয়া এবং একটি অভিন্ন ভবিষ্যতকে মাথায় রেখে উচ্চস্তরের চীন-আফ্রিকা সম্প্রদায় গড়ে তোলা’।

তিন দিনের এ আয়োজনের লক্ষ্য চীন ও আফ্রিকার মধ্যে বন্ধুত্ব শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার রূপরেখা তৈরি করা।
বৃহস্পতিবার সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৪ বছর ধরে চীন ও আফ্রিকান মানুষ আন্তরিকতার ভিত্তিতে যৌথভাবে সামনে এগিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চীন ও আফ্রিকান দেশগুলো নিজের বৈধ অধিকার রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে।

শি চিনপিং আরও বলেন, আগামী তিন বছরে ১০টি কার্যক্রমে আফ্রিকার সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। এর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা, বাণিজ্য, শিল্প চেইনের অংশীদারিত্ব, সংযোগ ও উন্নয়নের অংশীদারিত্ব, স্বাস্থ্যখাতে অংশীদারিত্ব, কৃষি ও কৃষকের সুবিধা, মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, সবুজ উন্নয়ন ও নিরাপত্তার অংশীদারিত্ব।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি চিনপিং বৃহস্পতিবার বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল মহাদেশ আফ্রিকার প্রতি চীনা সমর্থন বাড়ানোর জন্য প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল, আরো অবকাঠামো উদ্যোগের সমর্থন এবং কমপক্ষে ১ মিলিয়ন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা আফ্রিকার বৈষম্যগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনেও এটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের চারটি উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-প্রশাসন, শিল্পায়ন ও কৃষির আধুনিকায়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা, এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয় চারটি অধিবেশনে। চীন ও আফ্রিকান দেশগুলোর নেতারা যৌথভাবে অধিবেশনে সভাপত্বিত করেন।

সূত্র: সিসিটিভি