অনলাইন ডেস্ক : গাঁজার ব্যবহার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ। এত দিন গাঁজাকে যে ধরনের মাদকের তালিকায় রাখা হতো, সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এত দিন মাদকের চতুর্থ শিডিউলে ফেলা হতো গাঁজাকে। ওই একই শিডিউলে হেরোইন, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ড্রাগও রয়েছে। জাতিসংঘের বিবেচনায় এ ধরনের ড্রাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে জাতিসংঘকে জানিয়েছিল গাঁজাও ওই একই তালিকায় থাকায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় সমস্যা হচ্ছে। গাঁজা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি সম্ভব, তবে কঠিন ড্রাগের তালিকায় থাকায় তা করা যাচ্ছে না। তারপরই এই ভোটাভুটির ব্যবস্থা হয় জাতিসংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, জাতিসংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে গত বুধবার ভোটাভুটি হয়। একটি দেশ সেখানে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। বাকি দেশগুলোর ভোটে ২৭-২৫ ফলাফল হয়। ২৭টি দেশ গাঁজাকে কঠিন ড্রাগ হিসেবে চিহ্নিত করার বিরোধী। ২৫টি দেশ ভোট দেয় পক্ষে। ফলে চিকিৎসা গবেষণায় গাঁজার বৈধতা প্রতিষ্ঠা পায়।
অবশ্য গবেষণায় গাঁজার ব্যবহার অনুমোদন পেলেও নেশাদ্রব্য হিসেবে যারা গাঁজা সেবন করে; তাদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। এখনো গাঁজাকে মাদকের তালিকাতেই রাখা হয়েছে এবং সাধারণের ব্যবহারের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়নি। কেবল ওষুধ তৈরির জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে মাত্র।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে স্পষ্টই বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ গাঁজা বা গাঁজা গাছের রস থেকে তৈরি চরস সেবন করলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত নেশা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।