অনলাইন ডেস্ক : বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়ালটাও বাড়াতে হয়, সে পুরুষ হোক বা নারী। শরীর যত্ন চায়, মনে করিয়ে দেয় বয়সটা বাড়ছে। চল্লিশের পর পুরুষদের খাবারদাবারে বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিত। নিয়ম মেনে না চললে এই বয়সে বহু জটিল রোগ বাসা বাধতে পারে দেহে। তাই এই বয়সে শরীর ঠিক রাখতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তাহলে চলুন জানা যাক, কোন কোন খাবার ৪০-এর পর পুরুষদের শরীরে পূরণ করবে পুষ্টির চাহিদা।
দুধ: এক গ্লাস দুধের মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল ও পুষ্টি রয়েছে, তা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
দই: দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ভালো। দই বয়সের কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। দইয়ে ক্যালসিয়ামও থাকে। প্রোটিনের খুব ভালো উৎস দই। প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া হজমে সাহায্য করে। এতে আছে রিবোফ্লোবিন, ফসফরাস ও ভিটামিন ১২।
পেয়ারা: পেয়ারার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ৪০-এর পর সব পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
বাদাম: সুস্বাস্থ্যের বিবেচনায় প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখা উচিত। তারুণ্য ধরে রাখতে এতে দরকারি ভিটামিন ও পুষ্টি আছে। কাজুবাদাম, আখরোট ও কাঠবাদাম ওমেগা-৩-এর প্রয়োজনীয়তা মেটায়।
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরিতে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডসের ভালো উৎস। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা কোলাজেনকে শক্তিশালী করে। এতে ত্বকের দাগ কমায়।
বেগুন: বেগুনের মধ্যে কম ক্যালরি, ফ্ল্যাভিনয়েড এবং ফাইবার রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তরমুজ: চল্লিশের পর পুরুষদের যৌন ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। তরমুজে রয়েছে সিট্রুলিন অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রক্তকণিকা সচল রাখে।
বিনস: শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বিনস।
গ্রিন টি: তারুণ্য ধরে রাখতে অনেক জনপ্রিয় একটি পানীয় হচ্ছে গ্রিন টি। সবুজ চায়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ, যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ভাঁজহীন ত্বক এবং অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক গ্রিন টি।
অ্যাভোকাডো: পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো অন্যতম। এর মধ্যে আছে নানা ঔষধি গুণ। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই, কে। আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা কলার চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি। ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, ৩৪ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।