অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মুসল্লিদের ঘরেই নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর মসজিদগুলোতে শুধু ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা নামাজ আদায় করবেন। এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সরকারের এমন নির্দেশনা পালনও করছেন মুসল্লিরা। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) কয়েকটি মসজিদ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় নগরীর শুক্রাবাদ মসজিদে গিয়ে দেখা গেছে প্রধান ফটক বন্ধ। সামনে ঝুলানো রয়েছে বাসায় নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সেই বিজ্ঞপ্তি। এ সময় মসজিদের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টহল গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মসজিদে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে কয়েকজন মুসল্লিকে। তবে তারা সবাই দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেছেন। আর মসজিদের ভেতরে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ৫-৬ জন মুসল্লি দেখা গেছে।
মসজিদের সামনে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। সরকারের যেসব নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কিনা সেটাও দেখছি। কাউকে অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে বাসায় নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের বাসায় নামাজ আদায়ের অনুরোধ করছি।
নামাজ শেষে কথা হয় মসজিদের খাদেমের সঙ্গে। নিজের নাম না জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেখানে মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে সর্বোচ্চ ১০ জন শরিক হতে পারবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে কারণে আমরা আপাতত কোনও মুসল্লিকে মসজিদে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। নিজেরাই নামাজ আদায় করছি।
একই সময় পশ্চিম পান্থপথ জামে মসজিদে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানেও নামাজের সময় কোনও মুসল্লি দেখা যায়নি। মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে ভেতরে ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ৫-৬ জন মুসল্লি দেখা গেছে।
একই চিত্র দেখা গেছে খিলগাঁও তিলপাপাড়া জামে মসজিদ, আরামবাগ মসজিদসহ নগরীর প্রায় সব মসজিদে। এছাড়া মসজিদগুলোতে আজানের পর নগরবাসীকে বাসায় নামাজ আদায় করার জন্য মাইকে অনুরোধ করা হয়।