তাইজুল ফয়েজ, গ্রিস: বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে কৃষি ও তৈরি পোশাকশিল্প এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর। নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয় কৃষি শ্রমিকদের। করোনা প্রাদুর্ভাবে শিল্পকারখানার উত্পাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যে এ নেমেছে বিশ্বব্যাপী ধস‌। সেই ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে গ্রিসের মানোলতা গ্রামসহ আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাগজপত্র বিহিন যাদেরকে আমরা বলি অবৈধ প্রবাসী। প্রকৃত অর্থে তার বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে সচল রেখেছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা। যারা গ্রিসে বৈধভাবে অবস্থান করছেন তারা সরকারি বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়ে থাকেন।

মুজিববর্ষের স্লোগান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর হওয়ার কারণে বিদেশে গিয়ে কৃষি অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টিকে আছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা। প্রবাসে কৃষি আন্দোলনে নিয়োজিত করে উপার্জন করছেন হাজার হাজার ইউরো। নিজেকে সাবলম্বী করার পাশপাশি দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন গ্রিস প্রবাসীরা।

আদি সভ্যতার দেশ গ্রিসে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, বরফের মাঝে চাষ করছেন দেশীয় সকল প্রকার সবজি ও ফল। গ্রিসের মানোলাদাসহ, ম্যারাথনা, খালকিদা, আর্গোসে ও আস্প্র পীরগোসে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ সহ যাবতীয় দেশীয় ও স্থানীয় ফসল ফলাচ্ছেন প্রবাসীরা। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে সরবরাহ করছেন তরতাজা শাক-সবজি গ্রিসসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে। যদিও তাদের অনেকের খবর আমারা রাখি না। কতটা কষ্ট করে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বিলিয়ে দিচ্ছেন নিজেদের মূল্যবান সময় পার করে দিচ্ছেন দিনের পর দিন অনাহারে আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায়।