অনলাইন ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিটি মুহূর্তে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার অভাবে ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। ইসরায়েলি হামলা এবং কঠোর অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সংকট এখন চরমে। ২৩ লাখ মানুষের এই বসতিতে পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে সব পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সেখানে প্রতিটি সেকেন্ডে চিকিৎসা সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, সেখানে একের পর এক প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। অবরোধের কারণে চারদিন ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী সীমান্তে আটকে আছে। চিকিৎসা সহায়তা দিতে দেরি না করে আমাদের এখনই সেখানে প্রবেশে অনুমতি দেয়া জরুরি।`
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখনো বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর ১২ দিনের বিমান হামলায় তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে সেখানে পানি, খাবার, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার। অবরোধের কারণে কোনো ধরনের বিদেশে সহায়তা গাজায় ঢুকতে পারছে না।
ভয়াবহ এই সংকটের মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বর্বরোচিত হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এখনো শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। ফলে নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা শুরুর পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী বোমা হামলা।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালে বর্বরোচিত হামলার পেছনে ইসরায়েলি বাহিনী নয়, বরং সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দুষলেন ইসরায়েলে সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) তেল আবিবে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন জো বাইডেন।