অনলাইন ডেস্ক : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেঁপে খাদ্যতালিকার মধ্যে আমরা সবাই কম-বেশি রাখি। এতে প্যাপেইন নামক এনজাইম খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ও বয়সভেদে পেঁপে খাওয়া উচিত।
বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে পেঁপে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় নারীদের পেঁপে খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেন। পেঁপের বীজ, শিকড় এবং পাতা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস অবশ্যই কাঁচা পেঁপে সেদ্ধ, রান্নায় পেঁপে বা পাকা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পরের দিকেও পেঁপে খেলে গর্ভপাত না হলেও রক্তপাত হতে পারে।
কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন দেহের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে। পেঁপে ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
এছাড়াও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়। পেঁপেতে অনেক ফাইবার থাকে, যা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ শিশুরা কম পানি পান করে। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোন অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। তবে বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপজ্জনক। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্যও পেঁপে ক্ষতিকর। পেঁপেতে উপস্থিত একটি এনজাইমকে অ্যালার্জেন বলে। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যেমন হাঁপানির মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত পেঁপে খেতে বলা হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে পেটে জ্বালা-পোড়া ভাব এবং ব্যথা হতে পারে। এতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার হজম সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, পেঁপে অতিরিক্ত খেলে ফোলাভাব, পেট ফাঁপা এবং বমিভাব হতে পারে।