অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে, ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আমরা একুশের চেতনা বাস্তবায়ন করব। দুর্ভাগ্য, আমাদের আজকে এমন একটি সরকার জনগণের ওপর চেপে বসে আছে, যারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়েছে।
গতকাল সোমবার মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রভাতফেরি ও শহিদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ‘স্বাধীনতার জন্য জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে, তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানই প্রথম একুশে পদক চালু করেছিলেন।’ দেশে একটা ভয়াবহ ফ্যাসিজম চলছে—উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় বহুদূরে বিদেশে নির্বাসিত আছেন। অগণিত মানুষ আজ মামলায় জর্জরিত। দেশের মানুষ এখন পরাধীন—দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এই দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় এখনো সর্বস্তরে প্রচলিত হয়নি। ফখরুল আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন। দেশের অনেক মানুষ আজ মিথ্যা মামলায় পড়ে আছেন। দেশে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভোর ৬টায় বলাকা সিনেমা হলের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে প্রভাতফেরি সহকারে প্রথমে আজিমপুরে কবরস্থানে ভাষা শহিদদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। সেখান থেকে নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসেন।