অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না। সরকারের এ ব্যাপারে আইনি আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।
আনিসুল হক বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আগে বেগম জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে। তারপর আদালতে আবেদন করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে যোগ করা হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে আনাদুলু এজেন্সি জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানো দরকার।
প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছাড়া যাবে না এ দুই শর্তে মুক্তি দেয়।