অনলাইন ডেস্ক : রেড সি-তে ইয়েমেনের হুথি বাহিনীর সাঁড়াশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিকল হয়ে পড়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান। ২০ এপ্রিল রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজে প্রচারিত এক ভিডিওতে বিস্ফোরক এই তথ্য জানান প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জ্যেষ্ঠ নেতা ও কমান্ডার মাহদি আল-মাশাত।

নিশ্চিত তথ্যের বরাত দিয়ে মাহদি বলেন, মূলত ট্রুম্যান বিকল হওয়ার কারণেই তার জায়গায় মধ্যপ্রাচ্যে আরেক বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেন, ‘আমাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে যে, শুরুর দিকের হামলাতেই ট্রুমযান বিকল হয়ে পড়েছে। নতুন বিমানবাহী রণতরীর আবির্ভাব আর কিছুই নয়, ট্রুম্যানের ব্যর্থতা’।

তবে হামলায় ট্রুম্যান বা নৌবহরের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার উদ্দেশ্যে ছোড়া সকল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বিধ্বস্ত করার দাবি তাদের।

এদিকে ইয়েমেনে চলমান ধারাবাহিক বিমান হামলা এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জনতার সামনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যয় জানিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ট্রাম্প পালিয়েও বাঁচতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে তারা। বলেন, ‘বেসামরিক মানুষ ও বেসামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে হামলার যে অপরাধ, সে সবের জন্য ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সে যেই হোক না কেন, যেখানেই পালাক না কেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, জনতার সামনে তার কঠোর বিচার করা হবে।’

গাজায় যতদিন যুদ্ধ চলবে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ততোদিন মার্কিন ও ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে হামলা চলবে বলে প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

এদিকে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে হাত মিলিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রেড সি-তে মার্কিন নৌবহরে হামলা চালিয়ে যেতে ইয়েমেনিদের নানা রকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেইট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, চ্যাং গুয়াং নামে চীনের একটি স্যাটেলাইট কোম্পানি ইরান সমর্থিত এই যোদ্ধাদের সরাসরি মার্কিন জাহাজগুলোর ছবি ও অবস্থান বিষয়ক তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করছে, যাতে তারা যথাযথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। চীনের সামরিক বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ওই স্যাটেলাইট কোম্পানিটি। এ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও বেইজিং তা কানে তুলছে না বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।

ইয়েমেনি যোদ্ধাদের সাথে চীনের এই সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছে মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্ট। অন্যদিকে এ ধরনের কোনো কিছুর ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নয় বলে জানিয়েছে চীন।