অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এক ব্যক্তি ঢাকার আইসোলেশন থেকে পালিয়ে সারা দিন বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরেছেন, ঘুড়ি উড়িয়েছেন এবং গেছেন শ্বশুরবাড়ি। মঙ্গলবার ওই করোনা রোগী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় নমুনা পরীক্ষায় ওই শ্রমিকের গত শুক্রবার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। কারখানাটির পক্ষ থেকে তাঁকে একটি মেসের কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়। গত সোমবার রাতে ওই শ্রমিক আইসোলেশন থেকে পালিয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার তিনি সারা দিন বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরেছেন, শ্বশুরবাড়ি বেড়িয়েছেন এবং উড়িয়েছেন ঘুড়ি। খোঁজ না পেয়ে আজ বুধবার ওই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানান। খবর পেয়ে সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ ওই শ্রমিকের বাড়িটি লকডাউনের প্রস্তুতি নেন।
সখীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী বাদল জানান, চলতি মাসের ৩ জুন ওই শ্রমিক ঢাকার কারখানায় কাজে যোগ দেন। ১৭ জুন তাঁর গলাব্যথা, সর্দি, জ্বর অনুভব হলে করোনা পরীক্ষা করান। গত শুক্রবার তাঁর মুঠোফোনে করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর আসে।
ওই কোভিড রোগীর একজন বন্ধু বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি সে সবার কাছে গোপন রাখে। মঙ্গলবার সে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। বিকেলবেলায় বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলেও বেড়িয়েছে। কিছুক্ষণ ঘুড়িও উড়িয়েছে। রাতের বেলায়ও আড্ডা দিয়েছে। এখন এ খবর শুনে আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি।’
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করার প্রস্তুতি চলছে।