স্পোর্টস ডেস্ক : ৩৫ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঝে মাঝে জ্বলে উঠেছেন, কিন্তু ভেলকিটা পুরো দেখাতে পারেননি। যা দেখিয়েছেন বয়সে তার চেয়ে সাত বছরের বড় জিয়ানলুইজি বুফন। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সেভ করেছেন তেকাঠির নিচে এখনও বিস্ময় ইতালিয়ান গোলকিপার। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেই মাক্সিমোভিচ ও এলমাসকে অবিশ্বাস্যভাবে গোলবঞ্চিত করেছেন। তা না হলে ফাইনালটা টাইব্রেকারেই যায় না! তবে টাইব্রেকারে জাদু আর দেখাতে পারেননি ৪২ বছর বয়সী বুফন। বুধবারের টাইব্রেকারটা ৪-২-এ জিতে ষষ্ঠবারের মতো কোপা ইতালিয়া পেলো নাপোলি।

কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে জুভেন্টাসকে পেলেই নাপোলি জিতবে-এমন একটা ধারা বুঝি তৈরি হলো। এর আগে ২০১২ সালে রোমে ২০১২ সালে ওয়াল্টার মাজ্জারির নাপোলি কাভানি ও হামসিকের গোলে ২-০ গোলে হারিয়ে জিতেছিল কোপা ইতালিয়া, আট বছর পরে আবারো জুভেন্টাসকে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন। জেনারো গাত্তুসো ২০০৩ সালে মিলানকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার তিনি নাপোলির বিজয়ী কোচ।

বুধবার রোমের এ ফাইনালে জুভেন্টাসই অবশ্য গোলের সুযোগ পেয়েছিল আগে। ৮ মিনিটে রোনালদোর শট রুখে দেন নাপোলি গোলকিপার অ্যালেক্স মেরেত। ২৪ মিনিটে আবারো রোনালদোকে গোলবঞ্চিত করেছেন। কিন্তু এরপর খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করেছে নাপোলি। শ্রেয়তর দল ছিল তারাই। লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে বেশ কবার পরীক্ষা নিয়েছেন বুফনের। যোগ করা সময়েই তো ‘বুড়ো’ গোলকিপারের ওই দুটি সেভ।

নতুন নিয়মানুযায়ী অতিরিক্ত সময়ের খেলা নেই, তাই সরাসরি ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। সেখানে পাউলো দিবালার প্রথম স্পট কিক রুখে দিয়েছেন মেরেত। দানিলো বল উড়িয়ে মেরেছেন বারের ওপর দিয়ে। তাই বোনুচ্চি ও রামজে স্পটকিক থেকে গোল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ওদিকে নাপোলির হয়ে পর পর চারটি স্পট কিকেই গোল করেন ইনসিনিয়ে, পলিতানো,মাক্সিকোভিচ ও মিলিচ।

১০ম বারের মতো কোপা ইতালিয়া জেতা হলো না মানে ‘ত্রিমুকুট’ জেতার সম্ভাবনা শেষ জুভেন্টাসের। এখন শুধু ‘ডাবল’ই জিততে পারে তারা- সিরি ‘আ’র সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগ। পারবে রোনালদোর দল? আর ১৯৬২, ১৯৭৬, ১৯৮৭, ২০১২, ২০১৪ সালের পর ২০২০, ছয়বার কোপাজয়ী নাপোলি সিরি ‘আ’ শুরুর আগে পেয়ে গেল বাড়তি আত্মবিশ্বাস। যা চ্যাম্পিয়নস লিগেও জোগাবে জ্বালানি।