মনিস রফিক : কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের জন্ম, বেড়ে উঠা আর কানাডার নেতৃত্বে আসার অসাধারণ কিছু ঘটনা উপস্থাপন করেছেন তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘কমন গ্রাউন্ড’ এ। জাস্টিন ট্রুডোর সাবলীল আর অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা খুব সহজেই পাঠকের সামনে উম্মোচিত করে কানাডার রাজনীতি, সংস্কৃতি আর স্বপ্নকে। ইংরেজি ভাষায় লিখিত গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মনিস রফিক। ‘বাংলা কাগজ’ এ ‘কমন গ্রাউন্ড’ এর অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।

বাষট্টি.
এত এত সত্যিকারের সমস্যা থাকার পরও আমার কখনও মনে হয়নি যে লিবারেল পার্টির কোন ভবিষ্যৎ নেই। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি কানাডার জনগণ এমন একটি পার্টিকে চায় যেটা সত্যিকার অর্থেই জাতীয়ভাবে সব মানুষের মঙ্গলের চিন্তা করে এবং কখনও একটি বিশেষ মতাদর্শ বা গোষ্ঠীর চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য জনগণের চিন্তাভাবনাকে অগ্রাহ্য করে না। তারা এমন একটা পার্টি চায় যেটা তাদের নিজেদের, সংসারের, স¤প্রদায়ের ও দেশের আশা আর স্বপ্নকে মূল্য দিয়ে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। আমি জানি লিবারেল পার্টি এগুলোর সবকিছু সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে করে নি, কিন্তু তারপরও আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র লিবারেল পার্টিই পারে, সবাইকে এক প্রচণ্ড শক্তিতে রূপান্তরিত করে গঠনমূলকভাবে দেশ ও জনগণকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে। কানাডার সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা উইলফ্রিড লুরিয়ের সেই বিংশ শতাব্দীর একেবারে শুরুতেই কানাডার জনগণকে এক করে এক শক্তিশালী দেশ গড়তে নিরলস চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ও কাজকে যথার্থভাবে বিচার না করে বা ভালোভাবে না বুঝেই অনেকেই শুধু শুধু তাঁর সমালোচনা করে গেছে এবং মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে গেছে।

গণতন্ত্রের অনেক অনেক ভালো জিনিসের মধ্যেও একটি হচ্ছে, নেতারা নিজেদেরকে শুধরে নেবার সুযোগ পেয়ে থাকে। যদি কোন সরকার নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং জনগণ থেকে দূরে সরে যায়, তাহলে জনগণ নিশ্চয় সেই সরকারকে পরিবর্তনের জন্য উঠে পড়ে লাগে। আর যদি জনগণ নতুন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়, তবে তারা সেই আন্দোলনের পথটা তৈরী করতে পারে। আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি, কানাডার জনগণ এমন একটা পার্টি চাই, যেটা জনগণকেন্দ্রীক হবে, আর লিবারেল পার্টি এক সময় সেই ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু তখন একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছিল, লিবারেল পার্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হারের পর এই পার্টি আবার সেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে তো? একটু ঘুরিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, এই ভাঙ্গাচুরা লিবারেল পার্টি কি আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে একবিংশ শতাব্দীর কানাডার জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি হতে পারবে?

২০১১ এর নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। প্রথমত, পার্টির মধ্যে একটা স্থিরতা আর অন্তর্দ্ব›দ্ব দূর করার জন্য সেই সময়ে বব রে নেতৃত্বে আসলেন। পার্টির সেই দূর্দিনে বব রে’র সেই নেতৃত্ব যে কত বেশী প্রয়োজন ছিল তা বলে বুঝানো যাবে না। তিনি পার্টির মধ্যে একটা আশার বীজ বপন করতে পেরেছিলেন, সেই সাথে দলের মধ্যে একটা শৃংখলাবোধ তৈরী করেছিলেন, যেটা সেই সময় পার্টির জন্য খুব বেশী প্রয়োজন ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অনুকরণীয় বিষয় ছিল, তিনি নিজে কঠোর পরিশ্রম করে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, পার্টিকে আবার পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে হলে সব সদস্যদের কি করা প্রয়োজন। প্রায় সবাই যে ধরেই নিয়েছিল, পার্টির ভবিষ্যৎ ডাস্টবিনের দিকে এগুচ্ছে, এমন কিছুকে তিনি কোনভাবেই আমলে না নিয়ে তিনি পার্টির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে লাগলেন। আমার মনে হয়, খুব কম সংখ্যক মানুষই আনুধাবন করেছিল, বব রে’র এই লিরলস কাজ সেই সময় কত বেশী প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।

দ্বিতীয়ত, সেই সময় তৃণমূল পর্যায়ে পার্টির সবাই যেভাবে জেগে উঠেছিল, সেটাও একটা মনে রাখার মত ব্যাপার ছিল। লিবারেল পার্টিকে জাগিয়ে তোলার জন্য কানাডার দিকবিদিকের মানুষ এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল। ২০১২’তে অটোয়ায় যে কনভেনশন হয়েছিল, সেটাতেই এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। আমি স্বীকার করছি, সেই সময় এমন এক সঠিক জাগরণ দেখে আমি আনন্দে হতবাক হয়ে পড়েছিলাম। এটা এমন এক ব্যাপার ছিল যে, আমার বারে বারে পাপিনিউ’র সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় অটোয়ার সেই কনভেনশন’টা এমন এক পরিবেশের জন্ম দিয়েছিল, যাতে সব মানুষ কি ভাবছে, লিখছে বা বলছে, তা সবার সামনে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল। পরিবর্তনের নতুন যে হাওয়া বইতে শুরু করেছিল, তাতে সবাই নিজেদেরকে শাণিয়ে নিতে পারছিল এবং আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারছিল। ২০১২ সালের সেই কনভেনশন নির্বাচন কানাডার লিবারেলদের এক হওয়ার একটা পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছিল এবং যে বৈরী বাতাসে লিবারেল পার্টি ভেসে যাচ্ছিল, সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল।

যেভাবেই হোক, লিবারেল পার্টির সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যেই পার্টি’টির নতুন জন্মের সূচনা হয়েছিল। পার্লামেন্ট এর তৃতীয় দল হিসেবে এমন সব বিষয় আমাদেরকে আলোচনায় আনতে হত এবং এমন গুরুত্বহীন ক্ষমতা ছিল যে, কখনোই মনে হয় নি যে, আমাদের মত গুরুত্ব পাবে। আস্তে আস্তে বেশ কিছু মজার ঘটনা ঘটতে শুরু করলো। ২০১২ সালের সেই কনভেনশন এ যখন ৭৭ শতাংশ প্রতিনিধি গাঁজা ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছিল, তখন তাদের এই চাওয়াটাকে আমরা ভালোভাবেই নিয়েছিলাম। লিবারেল পার্টি আসলেই সত্যিকারের এক উদার পার্টির দৃষ্টান্ত রাখতে শুরু করেছিল যখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নিজের গর্ভপাত ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেবার বিষয়ে মহিলাদের মতকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
এই সব বিষয়ের সাথে সাথে একই ভাবে সমান গুরুত্ব দিয়ে এবং তেমন কোন ঢাকঢোল না পিটিয়ে আমরা পার্টির প্রশাসনকে আধুনিকীকরণ ও পার্টির কর্মপন্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই সময় আমরা মাইক ক্রাউলে’কে পার্টির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলাম। প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি লিবারেল পার্টির প্রতীকের লাল রং নিয়ে একটি শ্লোগান আওড়িয়ে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বলে উঠেছিলেন, ‘এক নির্ভীক নতুন লাল’ আমাদের চলার পথের সঙ্গী। তারপরই তিনি একেবারে পেশাদারিত্বের সাথে দলের জন্য তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়েছিলেন। তাঁর এই পথ চলার শুরুটাকে তখন অনেকটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনে হয়েছিল। তখন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমরা হাত দিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে, আমরা পার্টির সদস্যদের ধরনের কিছুটা পরিবর্তন করে, আমরা পার্টির একটা সমর্থকগোষ্ঠী তৈরীতে হাত দিয়েছিলাম, যারা চাঁদা ছাড়াই পার্টির সমর্থক হওয়ার সুযোগ পাবে। আমরা তাদের পার্টির সমর্থক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম, যারা পার্টির মূল্যবোধকে মনেপ্রাণে ধারণ করে। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, এমন জনগণই পার্টির আগামী দিনের যোগ্য নেতা নির্বাচনের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে এই সমর্থকগোষ্ঠী তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের কাজকর্ম চালিয়ে যাবার সাথে সাথে পার্টির কথা ছড়িয়ে দিবে এবং পার্টি তহবিল সংগ্রহে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। আমাদের এই উদ্যোগটা আধুনিক রাজনীতিতে এক নতুন সংযোজন বলে বিবেচিত হয়েছিল। দশকের পর দশক ধরে, রাজনৈতিক দলগুলো নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য স¤প্রচার মাধ্যম, চিঠিপথ ও ফোনের সাহায্য নিত। ২০০৮ সালে বারাক ওবামা’র মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হবার পর সবকিছুর একটা ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এখন, রাজনৈতিক যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যম।

১৯১৭ সালে কানাডার সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা উইলফ্রিড লুরিয়ের ফেডারেল নির্বাচনের প্রচারণা

যে মানুষগুলো লিবারেল পার্টির ফেসবুক বা টুইটারে পার্টির সদস্যদের সাথে যোগেযোগ রাখে বা পার্টি ভালো মন্দের খোঁজ খবর নেয় অথবা পার্টির যে কোন বিষয়ে নিজের মন্তব্য দিয়ে থাকে, তারা হয়তো সময় ও অন্য কোন কারণে পার্টির কনভেনশন এ যোগ দিতে পারে না, কিন্তু যখন তারা দেখে যে তারাও পার্টির একজন এবং পার্টির কোন এক স্তরে তারা আছে, তখন তারা খুবই উৎসাহ উদ্দীপনার সাথেই পার্টির জন্য কাজ করবে এবং তাদের মতামত দিবে যা নিশ্চয় পার্টিকে এক সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাবে।

২০১২ সালের কনভেনশন এর পর লিবারেল পার্টির মধ্যে এই যে নতুন জাগরণ শুরু হয়েছিল, সেটা কিন্তু খুবই মনে রাখার মত একটা ব্যাপার ছিল। তোমরা যেভাবেই এটার পরিমাপ কর না কেন, দেখবে পার্টির পুনর্গঠনের জন্য এটা ছিল এক অন্য রকম এক সময়। সেই সময় পার্টির এমন এক সমর্থক ও পর্যবেক্ষকের সাথে কথা বলে আমার বারবারই মনে হয়েছিল, এবার পার্টি তার সঠিক গতিপথে এগুচ্ছে এবং পার্টির সদস্যরা অনুধাবণ করতে পেরেছে কানাডার মানুষের আস্থা পেতে হলে কি ধরনের কঠিন পরিশ্রম করে সামনে এগুতে হবে। বিশেষ করে তরুণ লিবারেলরা এ ক্ষেত্রে এক ধরনের চালকের ভূমিকায় নিজেদের বসিয়েছিল। সেই তরুণরাই কিন্তু বুঝতে পেরেছিল, দলের খারাপ সময় কিভাবে আসে, তাইতো দলের ভবিষ্যৎ ঠিক পথে নিয়ে যাবার জন্য তারাই এই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। এই তরুণদের অনেকেই পার্টির নেতৃত্বের প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং তাদের অনেকেই এখন কানাডার বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন কমিউনিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমি আশা করি এদের অনেকেই পরবর্তী বা আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে। আর অবশ্যই অন্যরা নিজেদের এই নাগরিক সচেতন মন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবামূলক বিভিন্ন কাজে নিজেদের জড়িয়ে রাখবে। তাদের সবাই জনসেবায় ইতিবাচক ইচ্ছা নিয়ে যে কাজ করে যাচ্ছে তা দেশের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক। লিবারেল পার্টি এতদিন যেমন সব কর্মীর প্রত্যাশায় ছিল, তারা ঠিক তেমন কর্মী হয়ে প্রয়োজনীয় কাজে ঝাপিয়ে পড়েছে। সেই জানুয়ারীতেই তারা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিল, আমাদের পার্টি এমন একটা দল যেটা কোনভাবেই রাতের অন্ধকারে নিশ্চুপে সবার কাছ থেকে হারিয়ে যেতে পারে না।

আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয়টা ছিল যে, সেই ২০১২ সালের নীতি নির্ধারণী কনভেনশনটা আমি খুবই উপভোগ করেছিলাম। ওটাতে কোন ধরনের কলহ বিবাদ আর অন্তর্দ্বন্দের লেশ মাত্র ছিল না, কেউ কারো দিকে হাত উঁচিয়ে বা আঙ্গুল তাক করে কথা বলে নি। তখন আমার মনে হচ্ছিল, ২০১১ এর সেই বিপর্যয়ের পর পার্টির সবার মাথায় একটা বিষয়ই কাজ করছিল, আর তা হচ্ছে এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কিভাবে আগামীতে এগুনো যায়। পার্টির মধ্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটে গিয়েছিল, আর ২০১২’র সেই আয়োজনটার মধ্য দিয়ে সেটারই এক প্রতিফলন ঘটিয়েছিল। ২০১১ সালে পার্টির বিপর্যয় সব ধরনের সদস্যদের মনে এমন প্রবল একটা আঘাত দিয়েছিল যে, তখন সবাই’ই অনুধাবন করেছিল, পার্টিকে আবার নতুনভাবে গড়তে হবে, আর এই গড়াটা একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে।
পার্টির সেই বিপর্যয় আমাদের আবার সেই শিক্ষাও দিয়েছিল, নীতি ও মূল্যবোধ লিবারেল পার্টির চলার প্রধানতম প্রাণশক্তি এবং কানাডার জনগণ আমাদের সেই দিকে ঠিক হওয়ার জন্য এমন একটা শিক্ষা দিয়েছে। এটা যদি লিবারেল পার্টি অর্জন না করতে পারে, তবে তার টিকে থাকার কোন মানে হতে পারে না, সে ক্ষেত্রে দেশ শাসন করার তো প্রশ্নই আসে না। আমাদেরকে অবশ্যই সেটা অর্জন করতে হবে। সে জন্য আমাদের সেই ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। আর আমরা যদি না পারি, তবে জনগণ অবশ্যই বিকল্প কিছু বেছে নিবে।
শেষ পর্যন্ত আমরা পার্টিকে আবার সঠিক যাত্রাপথে ফিরিয়ে আনার মত যথেষ্ঠ জনবল পেয়ে গিয়েছিলাম যারা সত্যি সত্যি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল। (চলবে)