অনলাইন ডেস্ক : কুয়েত সরকার দেশটিতে থাকা বিভিন্ন দেশের প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। এক মাসের জন্য দ্বিতীয় দফা সাধারণ ক্ষমা ও জরিমানা দিয়ে বৈধ আকামা লাগানোর সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। ১ ডিসেম্বর হতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জরিমানা প্রদান করে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা। এর আগে চলতি বছর এপ্রিল মাসে প্রথম দফা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সে সময় থাকা খাওয়া ও বিমান টিকেট দেয় কুয়েত সরকার।
গত বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর কুয়েতে মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডিসেম্বর এই এক মাসের মধ্যে জরিমানা প্রদান করে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে কুয়েত সরকার। চলতি বছর ২০২০ সালের জানুয়ারি হতে যেসব শ্রমিকের আকামা লাগেনি বা যাদের নামে কফিল অথবা কোম্পানি ইনহাস মামলা করেছে তারা নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করে নতুন করে আকামা লাগানো সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া কারও নামে যদি কোন অপরাধমূলক ক্রিমিনাল মামলা থাকে তাহলেও তারা জরিমানা পরিশোধ করে দূতাবাস হতে আউটপাস নিয়ে দেশে চলে যেতে পারবে। এবং ২০২০ সালের পূর্বে যাদের নামে ইনহাস মামলা আছে সেই ইনহাম মামলা যদি মালিক পক্ষ তুলে না নেয় তাহলে সে নতুন করে আকামা লাগানোর সুযোগ পাবে না।
আবার ২০২০ সালের পূর্বে যাদের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আকামা লাগেনি তারা জরিমানা পরিশোধ করে আউটপাস নিয়ে দেশে চলে যেতে হবে পরবর্তী সময়ে নতুন ভিসায় কুয়েত আসতে পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ, শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবুল হোসেন। এ ছাড়াও মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-এন টিভির কুয়েত প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন সুমন, বাংলা টিভির কুয়েত প্রতিনিধি আ হ জুবেদ, আর টিভির কুয়েত প্রতিনিধ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সময় টিভির কুয়েত প্রতিনিধি শরীফ মিজান, মাই টিভির কুয়েত প্রতিনিধি আল আমিন রানা, একাত্তর টিভির কুয়েত প্রতিনিধি সাদেক রিপন, জয়যাত্রা টিভির কুয়েত প্রতিনিধি নাসরিন আক্তার মৌসুমী।
অনলাইনে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নেওয়ার পর কুয়েতের ছয় অঞ্চলে ২ হাজার ৪শ’ জনকে এই সেবা প্রদান করা হবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। সংবাদ সম্মেলনে এ ছাড়াও ইয়েমেনে আটক পাঁচজন বাংলাদেশির মুক্তি, ছুটিতে আটকে পড়া প্রবাসীদের কুয়েতে ফেরা, কুয়েত বাংলাদেশি শ্রমিক ও প্রবাসীদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগে কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামন।