অনলাইন ডেস্ক : সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে উগ্র ডানপন্থী সমর্থকদের দ্বারা কুরআন পোড়ানো এবং কুর্দি কর্মীদের পৃথক বিক্ষোভের পরে সুইডেনের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। খবর আল জাজিরা।

আঙ্কারা শনিবার তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ন্যাটো জোটে সদস্য পদ নিয়ে তুরস্ক বিরোধিতা করায় সুইডেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তুরস্ক সফর বাতিল করেছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ন্যাটো জোটে যোগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে সুইডেন। কিন্তু তুরস্ক বরাবরই সুইডেনের বিরোধিতা করে আসছে।

কুরআন পোড়ানোর নেতৃত্ব দেন ড্যানিশ উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদান। গত বছরের এপ্রিলে পবিত্র রমজান মাসে পালুদানের কুরআন পোড়ানোর ঘোষণা সুইডেন জুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয়।

পুলিশ দ্বারা পরিবেষ্টিত পালুদান একটি লাইটার দিয়ে পবিত্র গ্রন্থে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একই সঙ্গে তিনি সুইডেনে ইসলাম এবং অভিবাসনকে আক্রমণ করে কথা বলেন। এ সময় এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রায় ১০০ মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয়।

এ ঘটনার পরই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আমাদের পবিত্র গ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি দেওয়া মুসলমান ও আমাদের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করে, যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করতে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সমর্কিত নয়।

শুধু তুরস্ক নয় কুরআন পোড়ানোর ঘটনায়, সৌদি আরব, জর্ডান এবং কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এর নিন্দা জানায়।

গত বছরের এ ঘটনার পর নতুন করে একটি দল আঙ্কারায় সুইডিশ দূতাবাসের বাইরে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ইস্তাম্বুলেও একটি বিক্ষোভ হওয়ার কথা ছিল।