অনলাইন ডেস্ক : ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে পৃথক দুই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর ২ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। জম্মু-কাশ্মিরের কুলগাম জেলায় শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মিরের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআই বলেছে, কুলগামের দুটি গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অভিজাত প্যারা-কমান্ডোর এক সদস্যসহ দুই সৈন্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ৮ বিচ্ছিন্নতাবাদীও নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুলগামের মোদেরগাম গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই গ্রামের একটি বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার সাথে সাথে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এতে এক সৈন্য আহত হন। পরে কাশ্মিরের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এছাড়া কুলগাম জেলার ফ্রিসাল চিন্নিগাম এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। ড্রোন ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার একটি বাড়িতে অন্তত চারজনের মরদেহ পড়ে আছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে ওই চার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাশ্মিরের পুলিশ।
অভিযানের বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশের মহাপরিদর্শক আরআর সোয়াইন বলেন, বিশাল সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরস্ত্র করার এই ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় অর্জন। তিনি বলেন, সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় এটি নিঃসন্দেহে মাইলফলক ঘটনা। এসব সাফল্য যথেষ্ট অর্থবহ।
হিমালয় অঞ্চলের ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে পাকিস্তান। ১৯৮৯ সালে জম্মু-কাশ্মিরে ভারত-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অসংখ্যবার সহিংসতা ঘটেছে। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা এই সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জম্মু-কাশ্মির উপত্যকায় সহিংসতার ঘটনা কমেছে।