অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান সরকারের অধীনে কাবুল ছাড়লো প্রথম বেসামরিক যাত্রীবাহী বিমান। মার্কিন নাগরিকসহ ১১৩ যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ফ্লাইটটি কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহার হামাদ বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তালেবানের কাবুলের দখল ও আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার আফগান শরণার্থীর দেশ ত্যাগের পর কাবুল থেকে এটাই প্রথম বেসরকারি ফ্লাইট।

কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকা একজন আফগান-আমেরিকান নাগরিক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ফোন পাই। ফোনে করে আমাকে বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা বলা হয়।

দোহা বিমানবন্দর থেকে আলজাজিরার এক সাংবাদিক জানান, কাবুল থেকে আসা কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটিতে মোট ১১৩ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মার্কিন, কানাডিয়ান, ইউক্রেনিয়ান, জার্মান ও ব্রিটিশ নাগরিক। দোহাকে তারা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন। আমি মনে করি, তাদের পক্ষ থেকে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা।

কাবুল বিমানবন্দর থেকে বেসরকারি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ায় তালেবানের প্রশংসা করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি। তিনি জানান, আমরা যাত্রীদের নিয়ে প্রথম বিমানটি উড্ডয়ন করতে পেরেছি… (তালেবান) তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। তালেবানদের কাছ থেকে আমরা এটাই প্রত্যাশা করছি।

এর আগে আমেরিকানসহ বিভিন্ন দেশের আরও ২০০ নাগরিককে আফগানিস্তান ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে তালেবান। এই অনুমতির জন্য তালেবানকে চাপ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।