রাজীব আহসান, কানাডা থেকে : বিদেশি নাগরিকদের কানাডায় সফরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
গণস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দেশটির সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র রেবেকা পার্ডি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
করোনার বিস্তার রোধে গত ১৬ মার্চ থেকে ২৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকদের কানাডা ভ্রমণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, কানাডার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরা ওই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। তবে ওয়ার্ক পারমিটে থাকা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরা এই ছাড়ের আওতায় পড়বেন না বলে মুখপাত্র রেবেকা পার্ডি জানিয়েছেন।
যেসব দেশে ভাইরাস সংক্রমণ কমে গেছে, সেসব দেশের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার একটি প্রস্তাব আলোচিত হলেও সরকার সেটি গ্রহণ করেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সব দেশের নাগরিকদের জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ থেকে কানাডা, বিদেশি নাগরিকদের কানাডায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শুরু করে। যাতে করে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসে। এটি ২১ মার্চ পরিবর্তিত হয় এবং পরে কানাডা-মার্কিন সীমান্ত উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে পারস্পরিকভাবেই তা বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে কানাডায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অফিস-আদালতে কার্যক্রম চলছে। কোভিড-১৯ কানাডার ব্যবসাবাণিজ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ হওয়ার পথে। যদিও কানাডার সরকার দেশটির নাগরিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাপক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
করোনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে কানাডার রেস্টুরেন্টগুলোতে। এগুলো চালু হলেও ভিড় নেই বললেই চলে। বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোরও একই চিত্র।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ২০৪ জন। এ পর্যন্ত এ মহামারীতে মারা গেছে ৮ হাজার ৫৯১ জন, আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৭ হাজার ৫৯৪ জন।