অনলাইন ডেস্ক : কানাডা থেকে গ্রিন হাইড্রোজেন কিনবে জার্মানি। চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর চুক্তি সই।রাশিয়ার গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চাইছে জার্মানি। তাই তারা এবার কানাডার দ্বারস্থ হলো।

নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের এই চুক্তি হয়েছে। কানাডা থেকে জার্মানি গ্রিন হাইড্রোজেন কিনবে। তবে অবিলম্বে এই গ্রিন হাইড্রোজেন পাওয়া যাবে না। কানাডা প্রথম ডেলিভারি দেবে তিন বছর পর।

জার্মানির দুইটি সংস্থার সঙ্গেও কানাডার কোম্পানির চুক্তি হয়েছে। শলৎসের কানাডা সফর কানাডায় একটি অর্থনৈতিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন শলৎস। সেখানে ট্রুডোও ছিলেন। পরে তারা এই চুক্তি করেন। চ্যান্সেলর হিসাবে শলৎস এই প্রথম কানাডায় গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি রাশিয়ার উপর থেকে গ্যাস সংক্রান্ত নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করলেন।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে শলৎস বলেছেন, জার্মানি দ্রুত রাশিয়ার উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চায়। সেজন্য তারা কানাডার দিকেও তাকিয়ে। শলৎস বলেছেন, এনার্জির ক্ষেত্রে কানাডা সুপারপাওয়ার হতে পারে। সেই সুযোগ ও ক্ষমতা তাদের আছে। শলৎস ও ট্রুডো জানিয়েছেন, জার্মানি কানাডা থেকে লিকুইফায়েড ন্যাচরাল গ্যাস(এলএনজি)-ও কিনতে চায়।

ট্রুডো জানিয়েছেন, আমরা সম্ভাব্য সবরকমভাবে জার্মানিকে সাহায্য করতে চাই। আসন্ন শীতে ইউরোপ রীতিমতো সমস্যায় পড়বে। তাই আমরা আরও বেশি করে চেষ্টা করছি তাদের সাহায্য করার।

শলৎস বলেছেন, গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরির ক্ষেত্রে কানাডা প্রধান ভূমিকা নিতে চলেছে। আমরাও এই সুযোগে গ্রিন হাইড্রোজেন নিয়ে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাইছি। গ্রিন হাইড্রোজেন কানাডা থেকে এলএনজি ও গ্রিন হাইড্রোজেন এখনই পাচ্ছে না জার্মানি।

কারণ, এলএনজি রফতানি করার পরিকাঠামো কানাডার এখনো নেই। আর গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরির প্রক্রিয়া এখন শৈশবাবস্থায় আছে। হাইড্রোজেন ব্যবহার করলে গ্রিনহাউজ গ্যাস তৈরি হয় না।

গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরি করার সময় জলকে ইলেকট্রোলিসিস করে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে ভাগ করতে হয়। কোনো সন্দেহ নেই, এটা পরিবেশবান্ধব। গ্রিন হাইড্রোজেন কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হতে পারে। নিউফাউন্ডল্যান্ডের জনসংখ্যা কম। এখানে সবসময় খুব হাওয়া দেয়। এরকম জায়গা হাইড্রোজেন তৈরির জন্য আদর্শ।

শলৎস বলেছেন, এই চুক্তিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো যাবে।