রাশিদুল হাসান : কানাডা সরকার রেস্টুরেন্টগুলোতে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করছে। স¤প্রতি স্থানীয় একটি আদালত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রুল জারি করেছিল। তবুও গত ২০ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে প্লাস্টিকের স্ট্র, কাঁটাচামচ, ব্যাগ বা বক্স ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি সরকার।
কানাডার সরকার পরিবেশ সুরক্ষা আইনের আওতায় ২০২১ সালে প্লাস্টিককে বিষাক্ত পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্য দিয়ে প্লাস্টিক ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুযোগ তৈরি হয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কানাডায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় অটোয়া। সেই লক্ষ্যে গত বছর একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার, যা কার্যকর হওয়ার কথা গত ডিসেম্বর থেকে।
এ ছাড়া প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ছয় ধরনের প্লাস্টিকের রপ্তানিও নিষিদ্ধ করবে কানাডা সরকার। কিন্তু গত নভেম্বরে কানাডীয় আদালতে হোঁচট খায় সেই প্রচেষ্টা। সেই সময় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর দায়ের করা এক মামলার শুনানিতে ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক বলে রুল জারি করেন আদালত। তারপরও নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে কানাডার সরকার।
সরকারের হিসাবে, কানাডায় প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে শুধু প্লাস্টিক ব্যাগই থাকে ১ হাজার ৫০০ কোটি পিস। বিপুল এই প্লাস্টিক বর্জ্যের মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহার (রিসাইকেল) হয়।
ইউরোপের দেশগুলোর মতো কানাডার সরকারও ২০২৯ সালের মধ্যে পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পরিমাণ ৯০ শতাংশে নিয়ে যেতে চায়।
কানাডার পরিবেশমন্ত্রী স্টিভেন গিলবল্ট এক বিবৃতিতে বলেন, প্লাস্টিক দূষণ সবখানে পৌঁছে গেছে। এটি বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করে, পরিবেশের ক্ষতি করে। কানাডাসহ সারা বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণ হচ্ছে। পরিবেশগত গ্রুপ ওশেনা কানাডার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ কানাডীয় নাগরিক প্লাস্টিক নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। কানাডা ছাড়া আরও অন্তত ৫০টি দেশও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সূত্র : বিবিসি