অনলাইন ডেস্ক : কানাডার ভ্যানকুভার উপকূলে সমুদ্রে প্রায় চারতলা ভবনের সম্মান উচ্চতার একটি ঢেউ উঠেছিল বলে জানা যাচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত আশপাশের ঢেউ থেকে হঠাৎ তিনগুণ বেশি উচ্চতার ঢেউয়ের রেকর্ড ছিল। নতুন এই ঢেউয়ে আগের রেকর্ড ভাঙল।
সমুদ্রের এমন উত্তাল ঢেউ নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তাদের একজন ইউনিভার্সিটি অব ভিক্টোরিয়ার জোহানেস জেমরিচ। তিনি বলছেন, এমন উচ্চতার ঢেউগুলোর সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গেছে খুব কমই, আর এই উচ্চতার তো নয়ই। প্রতি ১ হাজার ৩০০ বছরে একবার এমন ঢেউ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের ২০ তারিখে এ ঢেউ উঠলেও বিজ্ঞানীরা তা প্রকাশ করেছেন চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি।
এখানে একটি ঢেউয়ের উচ্চতা কতটা সেটা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ওই ঢেউয়ের আশপাশের ঢেউয়ের উচ্চতা কত।
যেমন ১৯৯৫ সালে নরওয়ের উপকূলে ৮৪ ফুট উচ্চতার ঢেউ উঠেছিল তবে তার আশপাশে ৪০ ফুট উচ্চতার ঢেউও ছিল। অর্থাৎ সবচেয়ে উত্তাল ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল আশপাশের ঢেউগুলোর ২ গুণ উচ্চতার।
নভেম্বরে ভ্যানকুভারে যে ঢেউয়ের কথা বলা হচ্ছে এর উচ্চতা ছিল ৫৮ ফুট। আর এ ঢেউয়ের আশপাশে থাকা ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ২০ ফুটের কাছাকাছি।
নভেম্বরের এই ঢেউয়ের উচ্চতা মাপা হয় একটি মেরিন ল্যাব বয়া দিয়ে। কোম্পানিটি এ ঢেউয়ের একটি ভিডিও স্টিমুলেশন বানিয়েছে; যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই ঢেউয়ের নিকটবর্তী ঢেউগুলোর উচ্চতা ওই ঢেউ থেকে কত কম।
এখানে সমস্যা হলো, একবার যদি সেন্সরে এমন ঢেউয়ের পূর্বাভাস পাওয়াও যায় তারপর সেটাকে কিভাবে আর পাওয়া যাবে।
এ ধরনের ঢেউয়ের বিষয়ে কোনো পূর্বাভাসও দেওয়া সম্ভব না। ফলে তা অনেক ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হতে পারে।
হঠাৎ উদয় হওয়া এমন বড় ঢেউকে অনেক সময় সুনামি ভেবে ভুল করা হয়। উৎপত্তিগতভাবে সুনামির ঢেউ ও এসব ঢেউ এক নয়। হঠাৎ হঠাৎ এমন ঢেউ কেন তৈরি হয় তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
ভ্যানকুভারে এই ঢেউ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ, এটা উপকূল থেকে অনেক দূরে ছিল। তবে উপকূলের কাছাকাছি কোথাও তৈরি হলে এই ঢেউ থেকে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
সূত্র : সিএনএন।