অনলাইন ডেস্ক : দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সারা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯ জন চিকিৎসক, ৮৭৬ নার্সসহ ৩ হাজার ২৩৫ স্বাস্থ্যকর্মী।

এদিকে আজ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. একেএম মুজিবুর রহমান মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) চেয়ারম্যান ডা. শাহেদ রাফি পাভেল।

সিএমএইচ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২রা জুন গুরুতর অবস্থায় সেখানে ভর্তি করা হয় ডা. মুজিবুরকে। পরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়া হলেও তার অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। মৃত্যুর আগে তিনি রাজধানীর কেয়ার মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

ওদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক অতিরিক্ত প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তৌফিকুন্নেছা মারা গেছেন বলে যানা গেছে। সোমবার রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডা. তৌফিকুন্নেছা ও তার স্বামী ডা. এ কে এম ফজলুর রশিদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে আজ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানোনো হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রমের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য সার্জন এম রেজাউল করিম মারা গেছেন। তিনি সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক এম রেজাউল করিম কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। রেজাউল করিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি ইউএসটিসির সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। পরে মেডিসিন অনুষদের ডিন ও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।