অনলাইন ডেস্ক : টরন্টোর কাব্য জগতের পরিচিত মুখ কবি সাহিদুল আলম টুকু’র নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘কাকতালীয় স্পর্শ’ এবারের বাংলা একাডেমির বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাব্বিশটি কবিতার সমারোহে এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠককে খুব সহজেই সুন্দর কবিতার স্বাদ আস্বাদনে নিয়ে যায় কবিতার নিবিড় ভালোবাসার রাজ্যে।

কবি সাহিদুল আলম টুকু’র জন্মভ‚মি ব্যপ্ত এই পৃথিবী জুড়ে; তিনি যত দূরে যান স্বদেশ ছেড়ে, তাঁর জন্মভ‚মিও বিস্তৃত হয় সেই সুদূরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ফলে তাঁর কবিতা প্রাণতা পায় জারুল গাছের ছায়ায় দাঁড়ানো জলাভ‚মি ছেড়ে সুপিরিয়র হ্রদের মিষ্টি জলে ডুব দিয়ে। ছাত্রজীবন থেকে কবিতা লিখছেন তিনি খ্যাতির জন্যে নয়, বরং নিজের হ্রদয়কে ভাষ্যময়, অনুভ‚তিময় করে তোলার আত্মমগ্নতায় ডুব দেবেন বলে। তাঁর এইসব কবিতা যেমন তাঁর সমসময়ের, তেমনই তাঁর হ্রদয়ের দর্পন।

তৃতীয় এই কাব্যগ্রন্থে এসে সাহিদুল আলম টুকু যেন-বা আরও স্মৃতিতাড়িত, যেন-বা বন্ধুতার আঁচড়ে আরও ক্ষতবিক্ষত, যেন-বা সহমর্মী সঙ্গীদের নিরুদ্দেশ যাত্রায় মুহ্যমান। প্রিয় নারী ছেড়ে যেন-বা তাঁকে হাঁটতে দেখি নিরন্তর। কী এক স্তব্ধতার ছোঁয়ায় তাঁর কবিতা অবগাহন করে, আমাদেরও সেই অবগাহনের জলে সাঁতার কাটায়। তাঁর পূর্বপুরুষের বসতভিটা যেভাবে হাত বদল হয়ে যায়, ঠিক তেমনি এই কবিতাগুলোও হয়তো হাত বদল হয়ে নির্বাক, নিথর হয়ে থাকবে ভবিষ্যতের কোনও হৃদয়পুরে।

সাহিদুল আলম টুকুর জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৬৫ সালে ফরিদপুরে। লেখাপড়া করেছেন কাদিরদী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাদিরদী উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস করার পর পড়াশুনা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পেশাগত কাজ করেছেন বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রে। বর্তমানে তিনি কানাডার টরন্টো শহরে বসবাস করেন।

পৃথিবীর জনঅরণ্য ভ্রমণে তাঁর সঙ্গী প্রকৃতি। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ফণার মুখোশ’ প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মৌন অন্ধকার’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। ‘কাকতালীয় স্পর্শ’ তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
ধ্রæব এষ এর নান্দনিক প্রচ্ছদে সাহিদুল আলম টুকু’র কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সময় প্রকাশন।