বাংলা কাগজ ডেস্ক : গত ১৫ই অক্টোবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় টরন্টোর ৩০০০ ড্যানফোর্থ এভিনিউ’র টরন্টো ফিল্ম ফোরাম কার্যালয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর নাগরিক স্মরণসভা’র প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের ৫৫ জনের উপস্থিতিতে এ সভার সভাপতিত্ব করেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সভাপতি এনায়েত করিম বাবুল। সভায় নাগরিক স্মরণসভার তারিখ, স্থান এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহীকে নাগরিক স্মরণসভার যুগ্ম সমন্বয়কারী মনোনীত করা হয়। নাগরিক স্মরণসভা আগামী অক্টোবর ২৯ অথবা নভেম্বর ৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবার পক্ষে অধিকাংশ জন মত দেন এবং স্থান হিসেবে ব্রিমলি ক্যাথলিক স্কুল অথবা টিডিএসবি বার্চমাউন্ট স্কুলের মিলনায়তন উপযুক্ত বলে সবাই মনে করেন। সমন্বয়কারীগণ আগামী দু’এক দিনের মধ্যে নির্ধারিত তারিখে স্থান দুটির সহজলভ্যতা যাচাই করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জ্ঞাত করবেন। নাগরিক স্মরণসভার আহবায়ক হিসেবে কবি দিলারা হাফিজ ও লেখক হাসান মাহমুদের নাম প্রস্তাব করা হয়। সমন্বয়কারীগণ তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি চুড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া নাগরিক স্মরণসভা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি কমিটি গঠন করার জন্য। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন নাসির উদ দুজা, সুমন সাইয়েদ, আসমা আহমেদ, মৈত্রেয়ী দেবী, সেলিনা সিদ্দিকী, মিনারা বেগম, কামরান করিম, জামিল বিল খলিল, সাদী আহমেদ, ফায়জুল করিম, নওশের আহমেদ, মনিরুজ্জামান রাজু, বাদল ঘোষ, রেজা অনিরুদ্ধ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় কবি আসাদ চৌধুরী টরন্টোর অশোয়ার লেক রিজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরের দিন শুক্রবার বাদ জুম্মা কবির নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় টরন্টোর নাগেট মসজিদে। পরে সেই দিন বিকেলে কবির মরদেহ পিকারিং ডাফিন মেডোজে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে টরন্টোর বাঙালিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রায় এক দশক এই শহরে বসবাস করা আসাদ চৌধুরী সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের কাছে খুবই প্রিয় এক মানুষ ছিলেন। টরন্টোর বাংলাদেশীদের যে কোন অনুষ্ঠানে তিনি হাসি মুখে হাজির হতেন এবং তাঁর উপস্থিতি সবাইকে ভালো কাজে উদ্দীপ্ত করতো। তাঁর কথা সবার কাছে এক পরম অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করতো। টরন্টোর সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে তিনি ছিলেন প্রধানতম অভিভাবক। তাঁর প্রাণ খোলা হাসি, সবাইকে নিমিষেই আপন করে নেবার ক্ষমতা, মানবিকতা এবং অসাধারণ কথা বলার ক্ষমতা সব সময় তাঁকে আপামর জনসাধারণের কাছে শ্রদ্ধার আসনে রাখবে।