অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি এক মাসেরও কম সময়। মার্কিন নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনে ভোট দেবেন। গত জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়।
বিভিন্ন জরিপের ফল গুরুত্বপূর্ণ দিচ্ছে নানা তথ্য। এক মাস আগেও (অক্টোবর) জরিপে এগিয়ে থাকলেন কমলা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জরিপের গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। গত জুলাই মাসে নির্বাচনে দৌড় শুরুর পর কমলা জাতীয় জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে থেকেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজের জরিপ বিশ্লষণে কাজ করা ওয়েবসাইট ফাইভ থার্টি এইটের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় জরিপ গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। কমলার সমর্থন ৪৮ শতাংশ আর ট্রাম্পের ৪৬ শতাংশ।
ওই বিতর্ক দেখেছিলেন ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। ওই সপ্তাহে করা অধিকাংশ জরিপে দেখা যায়, বিতর্কে কমলার পারফরম্যান্সের প্রভাব ইতিবাচক। অনেক জরিপে তিনি এগিয়েছেন। এক দিনে তিনি আড়াই শতাংশ পর্যন্ত এগিয়েছিলেন। কিন্তু বিতর্কের আগে ট্রাম্পের সমর্থন বাড়ছিল। বিতর্কের পর তার সমর্থন কিছুটা কমে যায়। বিতর্কের এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থন দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে।
এসব জরিপে মূলত দেশজুড়ে কোন প্রার্থী কতটা জনপ্রিয় অবস্থায় রয়েছেন, তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে নির্বাচনি ফলাফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে এগুলো নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে পারে না।
এতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে হোয়াইট হাউসে যেতে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাইলফলক পার হতে হবে। এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর হিসাব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।