অনলাইন ডেস্ক : জোসেফ ফ্লাভিল। ব্রিটিশ কিশোর। গত বছরের ২ মার্চ বার্টন-অন-ট্রেন্ট শহরে গাড়ির ধাক্কায় মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পায়। এর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার।

এরপর প্রায় এক বছর ধরে কোমায় ছিল এই কিশোর। পরে আস্তে আস্তে কোমা থেকে সেরে উঠে। এর মধ্যে দুইবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তও হয়। কিন্তু সে জানতে পারেনি, এর মধ্যে যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্ব এক ভয়াবহ মহামারির সাক্ষী হয়েছে।

ভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে বেশিরভাগ সময় জোসেফের পরিবারের কেউ তার কাছে আসতে পারে না। আপনজনদের স্পর্শ পায়নি সে। শুধু ভিডিওকলের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে কথা হয়।
জোসেফের খালা স্যালি ফ্লাভিল রয়টার্সকে বলেন, জোসেফের চেতনা ফেরার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করেছে। এ নিয়ে আমরা শিহরিত। সে এখন আমাদের কথা শুনতে পারে, ছোট ছোট নির্দেশের প্রতি সাড়া দেয়। যখন আমরা তাকে বলি, জোসেফ, আমরা তোমার সঙ্গে থাকতে পারি না, তবে তুমি নিরাপদ, এ অবস্থা চিরকাল থাকবে না, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, সে আমাদের কথা শুনছে।

জোসেফের দুর্ঘটনার পর থেকে ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাপী জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে ভাইরাস। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, দোকানপাট এবং অন্যান্য তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু ব্রিটেনেই ৪০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১০ লাখের বেশি।

জোসেফকে করোনা মহামারির বিষয়ে জানানো নিয়ে স্যালি বলেন, আমি জানি না, কীভাবে জোসেফ আমাদের এই লকডাউনের গল্পগুলো বুঝবে। সে এখনও খুব অসুস্থ, যদিও কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

জোসেফের ক্রীড়াবিদ হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। সে এখন সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের স্টোক-অন-ট্রেন্টের একটি কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসা ব্যয় সঙ্কুলান করতে পরিবারের পক্ষ থেকে তহবিল সংগ্রহের প্রচার শুরু করা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি