অনলাইন ডেস্ক : একসঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার। তবে বরাবরের মতো নয়, এবারের অবকাশ যাপন একটু ভিন্ন। কারণ গত সপ্তাহে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।
বিচ্ছেদের ওই ঘোষণার পর নতুন করে আলোচনায় এলেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই জুটি। গত সপ্তাহে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ছাড়াছাড়ির পর পরিবার হিসেবে সন্তানদের নিয়ে তারা একসঙ্গে অবকাশকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন।
বর্তমানে তারা রয়েছেন ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। তিন সন্তানের সঙ্গে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় সেখানে ছুটি কাটাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর-সিটিভি নিউজ
তারা কোথায় থাকবেন তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্দিষ্ট করে বলেনি। তবে বলেছে, তারা ১৮ আগস্ট অটোয়ায় ফিরবেন।
কানাডার স্থানীয় পত্রিকা কানাডিয়ান প্রেস-এর প্রতিবেদন বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অবকাশকালীন ছুটির যাবতীয় ব্যয়ভার তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বহন করা হবে। তারা এক সপ্তাহের জন্য কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পশ্চিম উপকূলের কোথাও থাকবেন। এই দম্পতি অফিসিয়ালি আলাদা হয়ে গেলেও সন্তানদের দেখভালে তারা প্রতিশ্রুতবদ্ধ।
বিচ্ছ্দে ঘোষণার সময় দুজনই বলেছিলেন যে, তারা আলাদা হচ্ছেন। তবে তারা এখনও পরিবার হিসেবে এক সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। তারা তাদের তিন সন্তানের কথা ভেবে গোপনীয়তাও চেয়েছিলেন।
২ আগস্ট ট্রুডো ইনস্টাগ্রামে অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সোফিও তার ইনস্টাগ্রামে একই ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের এই ঘোষণায় অনেককেই বিস্মিত হয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন, যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান।’
বিচ্ছেদের পরও ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ের প্রসঙ্গও ঘুরেফিরে আসছে। ২০০৫ সালে তারা মন্ট্রিয়লে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
ট্রুডোর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই দম্পতি বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের এখনও জনসমক্ষে একসঙ্গে দেখা যাবে। বিচ্ছেদের জন্য যেসব আইনগত এবং নৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। এবং সেগুলো চলমান রেখে তারা এগিয়ে যাবেন।
জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন ক্যানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।