অনলাইন ডেস্ক : একদিকে করোনার সংক্রমণ অন্যদিকে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপ। তীব্র গরমে ঘাম বসে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অতিরিক্ত ঘামের কারণে অনেকে পানিশূন্যতায়ও ভূগছেন। এই গরমে সুস্থ থাকতে মসলা জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে পানীয়ের উপরেই নির্ভর করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত, যাতে পর্যাপ্ত পানি আছে। কারণ, গরমে ঘাম হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তাছাড়া কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরের গরম কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া শুধু তৃষ্ণা মিটলেই তো চলবে না, গরমে এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরও ঠান্ডা রাখবে আবার খাবার হজমও হবে সহজে। যেমন-
তরমুজ : ঠান্ডা তরমুজ গরমে প্রশান্তি দেবে। তাই এই সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েক টুকরা তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই পানি থাকায় এটি শরীরকে আরাম দেবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
শসা : গরমে শসা শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি পরিচিত। শসা ফসফরাস, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্য বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত । বাইরে বের হয়ে গরম অনুভূত হলে শসা খেতে পারেন। এতে মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ঠান্ডা থাকবে।
পুদিনাপাতা : ঠান্ডা ও প্রশান্তির জন্য পুদিনাপাতা বেশ ভালো খাবার। গরম কমাতে নানাভাবে পুদিনাপাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে পুদিনাপাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া বাজারে ‘মিন্ট টি’ কিনতে পাওয়া যায়, সেটা খাওয়ার অভ্যাস করলেও গরমে প্রশান্তি পাবেন।
সবুজ শাক : সবুজ পাতার শাকে কম ক্যালরির পাশাপাশি ৯২ শতাংশ পানি থাকে। এ কারণে এটি আপনার শরীরকে ঠান্ডা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এটি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে। সবুজ শাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি, ‘কে’ এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য দারুন উপকারী।
দই : গরমের খাবার হিসেবে দইও ভালো খাবার। বিশেষ করে টকদই। দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছিও খেতে পারেন। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায়, সেসবও গরমের খাবার হিসেবে খেতে পারেন। তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা দকদই খেলেও ভালো ফল পাবেন। কারণ, দইয়ে থাকা ৮৫ শতাংশ পানি গরমে শরীরে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।