বিনোদন ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। এআইয়ের প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবি তৈরি করা যায়। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করেন অনেকেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের ছবি নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হয়েছিল গত মাসে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ইতোমধ্যে এর আয়োজকেরা সেরা ১০ প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে আছে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান।
তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এআই কনটেন্টনির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।
চূড়ান্ত পর্বে থাকা দশ এআই সুন্দরীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব। এলিজা খান একজন জেন–জি ফ্যাশনিস্তা, যে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব।
‘মিস এআই’ প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একজন ফ্যানভ্যুর সহপ্রতিষ্ঠাতা উইল মোনানাজ। এআই প্রতিযোগিতাটি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এইআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা এআই প্রযুক্তি খাতে অস্কারের সমমর্যাদা পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০–এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। সম্প্রতি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই এআই সুন্দরীদের নির্বাচন করেছে বিশেষ বিচারক প্যানেল। এই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে দুজন মানুষ এবং দুজন এআই ইনফ্লুয়েন্সার।
এআই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সুন্দরীদের তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হচ্ছে। সেগুলো হলো সৌন্দর্য, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক—ইত্যাদি দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন।