অনলাইন ডেস্ক : সাময়িক মুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। পারিবারিক এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি নিয়মিত টিভি দেখছেন, পত্রিকা পড়ছেন। নানা মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি দেশবাসীকে এই মহামারী প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া দেশের এ সংকটকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীসহ সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার চিকিত্সার জন্য গঠিত ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দুই-তিন দিন পর পর তার সঙ্গে দেখা করেন। লন্ডনে অবস্থানরত পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিত্সার তত্ত্বাবধান করেন। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে পুরোদমে চিকিত্সা শুরু হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবজমিনকে বলেন, ম্যাডামের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। তিনি দেশের বর্তমান মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন , দেশের মানুষকে এই মহামারীর আগ্রাসন থেকে মহান রাব্বুল আলামীন যেন রক্ষা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিত্সার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম চিকিত্সক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে এখন প্রধান কাজ হল ম্যাডামকে একা থাকতে দেয়া। উনি আগের চেয়ে মানসিকভাবে ভালো আছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে যথাযথ চিকিত্সা না পাওয়ায় তার পুরনো রোগগুলো জটিল আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে আগের ওষুধগুলোই চলছে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন করে ওষুধ দেয়া শুরু হবে।