অনলাইন ডেস্ক : সরকারি খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে খামার স্থাপনের অভিযোগে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
আজ বৃহস্পতিবার সোয়া ১২টার দিকে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসানের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিটের এই অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর মূল অংশ উপড়ে দেয় ডিএনসিসি।
এদিকে এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি এই জমির মালিক না, একজন ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায় আসে না। আমি অন্য জায়গায় চলে যাব।’
আজ সিটি করপোরেশন থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার আগে নিজেদের লোকজন দিয়ে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরিয়ে নেন তিনি। এর আগে রাতের মধ্যেই অনেক পশু সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর ইমরান বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই। তার দাবি, সিটি করপোরেশন যে জায়গাটা খাল বলে দাবি করছে, সেটির মালিক তিনি নন। এই জায়গার মালিক এই স্থাপনার দ্বিতীয়তলায় থাকেন। তিনি তার জায়গায় স্থাপনা করেছেন, আমি নিচতলা ভাড়া নিয়েছি। মালিক নিজেই দ্বিতীয়তলায় থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাল ভরাটসহ যা কিছু বলা হচ্ছে সবই মালিকের করা। দ্বিতীয় তলায় যেহেতু তিনি থাকেন এবং সিটি করপোরেশন যদি মনে করে যে এটা ভেঙে দেবে, তো ভেঙে দিতে পারে।’
উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন। ঈদুল আজহার আগে ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর নতুন করে আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এই ছাগলকাণ্ডের জের ধরেই এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য সামনে আসে।