শামীম আহসান মহাবুল্লাহ : (ক্রমশ)
ঐ বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচলিত অর্থে যারা ধার্মিক নন, তাদের মধ্যে অনেকেই একটা অস্পষ্ট অনুভূতিকে স্বীকার করেন যে, দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোর মাঝে বাস্তবতার পৃষ্ঠদেশে “কিছু একটা” আছে! অস্তিত্বের পিছনে কিছু না কিছু বিদ্যমান। এমন কি বাস্তববাদী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নাস্তিকদেরও আছে প্রকৃতির প্রতি সশ্রদ্ধ অনুভূতি, আছে মুগ্ধতার আকর্ষণ। প্রকৃতির গভীর এবং সুন্দর ও সূ² নৈপুণ্যের প্রতি নাস্তিকদের এই সচরাচর বিদ্যমান শ্রদ্ধা, প্রকৃতপক্ষে যা কিনা ধর্মীয় সম্ভ্রমেরই সগোত্র! বস্তুত এই বিষয়গুলোতে বিজ্ঞানীরা হচ্ছেন খুবই আবেগ প্রবণ মানুষ। একটা বহু বিস্তৃত বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে বিজ্ঞানীরা হন নিরুত্তাপ, কঠিন, আত্মাহীন স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের ব্যক্তি — আসলে এরচেয়ে বড় কোন ভুল ধারণা আর হতে পারে না! (ক্রমশ)
আমি বিজ্ঞানীদের ঐ দলটির সাথে আছি যারা কোন প্রচলিত ধর্মের সাথে সহমত নন কিন্তু তা সত্বেও, মহাবিশ্বটা হচ্ছে যে একটা উদ্দেশ্য বিহীন নিছক দূর্ঘটনা, এমন ধারণা তারা প্রত্যাখ্যান করেন। আমার বিজ্ঞান বিষয়ক কাজ গুলোর ভিতর দিয়ে আমি ক্রমাগত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছি যে, একটা বিস্ময়কর চাতুর্য ও কৌশলে ভৌত মহাবিশ্বকে একত্র করা হয়েছে, এটা শুধুই যে একটা নিছক নির্মম সত্য, এমনটি আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার মনে হয়, অবশ্যই, এখানে আছে ব্যাখ্যার একটা গভীর স্তর। এই গভীর স্তরকে কেউ ডাকতে পারেন “ঈশ্বর (God)”, যা হবে ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ আর সংজ্ঞায়ীত করার একটা প্রক্রিয়া। অধিকন্তু, আমি একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টি ভঙ্গিতে এসে পৌঁছিয়েছি যে মন —— অর্থাৎ জগতের জাগ্রত সচেতনতা ——- প্রকৃতির শুধুই একটা অর্থহীন নৈমিত্তিক বিদ্রূপাত্মক কৌতুক নয়! বরং এটা হচ্ছে বাস্তবতার একটা পরিপূর্ণ অপরিহার্য দিক। যার অর্থ অবশ্য, এমন কথা বলা নয় যে, আমাদেরকেই অভীষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এই মহাবিশ্বটা অস্তিত্বশীল হয়েছে, বরং এর থেকে অনেক দূরে। যদিও আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, আমরা মানুষেরা নির্মিত হয়েছি খুবই মৌলিক উপায়ে, এই প্রকল্পের উপাদান হিসাবেই! (ক্রমশ)
কি কি কারণকে অনুসরণ করে আমি এই বিশ্বাসগুলোর প্রতি সমর্পিত হতে সচেষ্ট হবো, সেই কারণগুলোই আমি অনুসন্ধান করবো। এ ছাড়াও অন্য বিজ্ঞানী ও ধর্মতত্ত¡বিদদের বিশ্বাস ও কিছু কিছু তত্ত¡কে আমি যাঁচাই করে দেখবো, যার সবগুলোর সাথেই যে আমি একমত, এমন নয়! বেশির ভাগ আলোচনার সাথেই বিজ্ঞানের অগ্রগতির সদ্য আবিষ্কৃত তথ্যাবলীর শেষ সীমার সম্পৃক্ততা আছে। এদের মধ্যে কতোগুলো অগ্রসর হয়েছে ঈশ্বর (God), সৃষ্টি (creation) এবং বাস্তবতার প্রকৃতি (nature of reality) সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনা পূর্ণ ধারণা বরাবর। এই বইটির অভিপ্রায়, কিন্তু তাই বলে ধর্ম ও বিজ্ঞানের ক্লান্তিকর সম্মিলনের জরিপ নয়। বরং এটার বেশির ভাগটাই হচ্ছে ব্যক্তিগত উপলব্ধির নিমিত্তে করা অনুসন্ধান। এই বই লেখা হয়েছে সাধারণ পাঠকবৃন্দের জন্য। তাই আমি এখানে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোকে যথা সম্ভব সীমিত রাখার চেষ্টা করেছি। এই বই বুঝার জন্য গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানের পূর্ববর্তী জ্ঞান থাকা আবশ্যক নয়। কতোগুলো অনুচ্ছেদ, বিশেষত ৭ম অধ্যায় হচ্ছে বরং খানিকটা জটিল কুন্ডলী পাকানো দার্শনিক যুক্তি তর্কের সাথে সংযুক্ত। কিন্তু পাঠকরা খুব দ্রুতই এমন অনুচ্ছেদগুলোকে অতিক্রম করতে পারবেন, বিশেষ কোন অসুবিধা ছাড়াই! (ক্রমশ)
এই অনুসন্ধানের কাজে কতো মানুষ যে আমাকে সহযোগীতা করেছেন, তাদের সবার কথা ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখানে উল্লেখ করা অসম্ভব। ব্রিটেনের University of Newcastle upon Tyne এবং অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের সঙ্গে এক সাথে কফি খাওয়ার আড্ডায়, আমার আছে বেশ কিছু মূল্যবান অর্জন। বেশ ক’জন সম্মানিত ব্যক্তির সাথে আলোচনা করে আমার অন্তর্দৃষ্টির আকর্ষণীয় প্রসারণ ঘটেছে, এরা হচ্ছেন :
John Barrett, John Barrow, Bernard Carr, Philip Davies , George Ellis , David Hooton , Chris Isham, John Leslie , Walter Mayerstein, Duncan Steel, Arthur Peacocke, Roger Penrose, Martin Rees, Russell Stannard and Bill Stoeger এবং আরও অনেকের বক্তৃতা শুনে আমি অনুপ্রানিত হয়েছি। এর বাইরেও Graham Nerlich এবং Keith Ward এই গ্রন্থটির পান্ডুলিপির নির্দিষ্ট কতগুলো অংশের উপর বিস্তৃত এবং মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সবশেষে আমি কতগুলো পরিভাষার বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি। যখন ঈশ্বর (God) নিয়ে আলোচনা হয়, তখন কতগুলো ব্যক্তিবাচক সর্বনামকে বাদ দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমি দৃঢ়ভাবে সংলগ্ন থেকেছি প্রচলিত সম্বোধন “তিনি (he)”–তে। তবে এ ব্যাপারটাকে এমন ভাবে মনে করা ঠিক হবে না, যে আমি একজন পুরুষ বাচক ঈশ্বর (God)–এ বিশ্বাসী অথবা এমন নয় যে খুব সরল ধারণায় আমি ঈশ্বর (God)–কে এক জন ব্যক্তি হিসাবে ধরি। একই ভাবে “মানুষ (Man)” শব্দটা দিয়ে শেষ অধ্যায়ে Homo spiens–কে বুঝানো হচ্ছে, কোন পুরুষ ব্যক্তিকে নয়। যখন কোন বড় অথবা ছোট সংখ্যা আলোচিত হয়েছে তখন আমি দশ-এর সাধারণ স্বীকৃত সূচক ব্যবহার করেছি। যেমন উদাহরণ হিসাবে বলছি, 10²º বলতে বুঝায় “এক এর পর আছে বিশটা শূন্য”, অন্যদিকে 10-²º অর্থ দাঁড়ায় 1/10²º। (মুখবন্ধ শেষ)
প্রথম অনুচ্ছেদ
১.
যুক্তি এবং বিশ্বাস (Reason and Belief)
মানুষের সব ধরনের বিশ্বাসই থাকতে পারে। যে বিশ্বাসের পথ ধরে মানুষ কোন সিদ্ধান্তে আসে, সেই পথগুলো হয় নানা রকমের —— যুক্তি সংগত কারণ থেকে শুরু করে অন্ধ বিশ্বাস পর্যন্ত। কিছু কিছু বিশ্বাসের ভিত্তি হচ্ছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, আবার অন্য কতগুলোর ভিত্তি হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-দিক্ষা, এর বাইরেও আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো উদ্ভূত হতে পারে কোন মতবাদ কিংবা আদর্শ ইত্যাদিতে উদ্ধুদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। এতে কোন সন্দেহ নাই যে, অনেক ধরনের বিশ্বাসই সহজাত : আমরা বিবর্তন মূলক হেতু থেকেই অনেকগুলো বিশ্বাস সাথে নিয়েই জম্ম গ্রহণ করেছি।আমরা অনুভব করি, কিছু কিছু বিশ্বাসকে যুক্তি সংগতভাবে উপস্থাপন করা যায়, আর বাকিগুলো আমরা ধরে রাখি অন্তরের ‘দুঃসাহসিক অনুভূতি’ হিসেবেই! (ক্রমশ)
স্পষ্টতই আমাদের অনেক বিশ্বাসের মধ্যে আছে ভ্রান্তি, কারণ ওগুলো হয় অসংলগ্ন, অথবা ঐ বিশ্বাস গুলি অন্য বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। কিংবা সাংঘর্ষিক কোন প্রতিষ্ঠিত স্বত:সিদ্ধের সাথে। আড়াই হাজার বছর আগে, প্রাচীন গ্রীসে, প্রথম বারের মতো সাধারণ বিশ্বাসের ভিত্তিসমূহকে প্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্তে নিয়মতান্ত্রিক কিছু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। মানুষের বিচার বিবেচনাকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সন্দেহাতীত করার নিমিত্তে কতগুলো আনুষ্ঠানিক নিয়ম কানুনের অনুসন্ধান করেছিলেন গ্রীক দার্শনিকেরা। যৌক্তিক বিতর্কে ঐক্য মতে আসার পদ্ধতিগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে এই দার্শনিকরা প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিলেন হত-বিহবলতা, ভুল বুঝাবুঝি এবং মতবিরোধকে, যেগুলো কিনা মানুষের জাগতিক কাজ কর্মকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্য মন্ডিত এবং প্রভাবিত করে তুলতে পারে। এমন পদ্ধতির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল কতোগুলো অনুমান কিংবা স্বতঃসিদ্ধে উপনীত হওয়া, যা কিনা সকল যুক্তি বাদী পুরুষ ও নারীদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে, আর এই অনুমান কিংবা স্বতঃসিদ্ধ থেকে সব মতবিরোধের ইরাদা বা সমাধানের প্রবাহ বইবে! (ক্রমশ)
এটা বলা হয়ে থাকে যে, এই লক্ষ্যে কখনও-ই উপনীত হওয়া যায় নাই, যদিও হয়তোবা উপনীত হওয়া সম্ভব ছিল। আধুনিক বিশ্বে বিশ্বাসের বৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করেছে, যেমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি। এই বিশ্বাসগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই একরোখা, এমন কি বিপজ্জনকও! আর অনেক সাধারণ মানুষের কাছেই যৌক্তিক বিতর্ক পর্যবসিত হয় অর্থহীন কুতর্কে! শুধুমাত্র বিজ্ঞানে এবং বিশেষ করে গণিতে, গ্রীক দার্শনিকবৃন্দের আদর্শগুলো বহাল রয়েছে (এবং অবশ্যই বলা যায় আরও বহাল আছে দর্শনের নিজের মধ্যেই)! যখন অস্তিত্ব বিষয়ক সমস্যার সত্যিকারের গভীরতাকে সম্বোধন করার প্রশ্ন আসে, যেমন মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং এর তাৎপর্য, জগতে মানুষের স্থান, প্রকৃতি, গঠন এবং এর সাংগঠনিকতা, তখনই একটা শক্তি শালী মোহ উপস্থিত হয় যা কিনা অযৌক্তিক বিশ্বাসের দিকে পিছুটান সঞ্চার করে। এমন কি বিজ্ঞানীরাও এ থেকে নিজেদের প্রতিরোধ করতে পারেন না। আবেগহীন ও যুক্তি সংগত বিশ্লেষণ দ্বারা এই বিষয়গুলোকে মোকাবেলা করার প্রচেষ্টার একটা দীর্ঘ ও সম্মানজনক ইতিহাসও কিন্তু আছে! যুক্তি সংগত বিতর্ক আমাদের ঠিক কত দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম? বিজ্ঞান ও যুক্তি সংগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা কি সত্যি সত্যিই অস্তিত্ব বিষয়ক প্রশ্ন সমূহের উত্তর পাওয়ার আশা করতে পারি অথবা আমারা কি সব সময়ই কোন না কোন পর্যায়ে এমনই রহস্যের দেখা পাবো যা কখনোই উদঘাটন করা যায় না? এবং যা-ই হোক না কেনো, মানুষের যৌক্তিক বিচার বুদ্ধিটা-ই বা কি? (And just what is human rationality anyway?)
[‘যুক্তি ও কারণ (Reason and Belief)’, শিরোনামের অধ্যায়টির সমাপ্তি এখানেই। এরপর শুরু হবে ‘বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতা (The Scientific Miracle)’ অধ্যায়]
বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতা (The Scientific Miracle)
যুগ যুগ ধরেই সমগ্র মহাবিশ্বের সৌন্দর্য্য, মর্যাদা এবং অকপটতা প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে। তবে শুধুমাত্র আধুনিক বিজ্ঞান সংস্কৃতিই নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রচেষ্টা করছে মহাবিশ্বের প্রকৃতি আর, এর মধ্যে আমাদের অবস্থানকে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করার। প্রকৃতির নিগূঢ় তাৎপর্যকে উন্মোচন করার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাফল্য এতটাই চোখ ধাঁধানো যে, এটা আমাদেরকে অন্ধ বানিয়ে ফেলে, সব কিছুর উপর আমরা নিয়ে আসি বিজ্ঞানের অলৌকিক দক্ষতাকে : বিজ্ঞান কাজ করে! বিজ্ঞানীগণ স্বাভাবিক ভাবে ধরেই নেন যে, আমরা সবাই বাস করি একটা যুক্তিভিত্তিক সুশৃঙ্খল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যা কিনা চালিত হচ্ছে নিখুঁত কিছু নিয়মে, আর এই নিয়মগুলো মানুষের উপস্থাপিত যুক্তির মাধ্যমেই উন্মোচিত হতে পারে। কিন্তু তারপরেও কেন টিকে আছে, আস্থা জাগ্রত করে প্রতারণা করার মতোই এতগুলো উত্তেজনা পূর্ণ রহস্য! মহাবিশ্বের পরিচালিত হওয়ার সূত্রগুলো উপলব্ধি এবং আবিষ্কার করার সক্ষমতাই বা কেনো মানুষের আছে?
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক বৃন্দ এই গোলক ধাঁধাঁকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। বিজ্ঞান ও গণিতকে ব্যবহার করে জগতকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে যে সাফল্য আমরা অর্জন করেছি, তা কি শুধুই মাত্র একটা আকস্মিক প্রাপ্তি, কিংবা এটা কি অনিবার্য যে মহাজাগতিক নিয়ম কানুন থেকে উদ্ভূত অবয়ব যাদেরকে বলা হচ্ছে জীব, তাদের মধ্যেই প্রতিফলিত হচ্ছে ঐ নিয়মাবলীর জ্ঞান ভিত্তিক সক্ষমতা? আমাদের বিজ্ঞানের চোখ ধাঁধানো অগ্রগতি কি শুধু মাত্র ইতিহাসের একটা প্রাসঙ্গিক বিদ্রূপ, অথবা এটা কি মানুষের মন ও প্রকৃতি জগতে বিদ্যমান গভীর ও অর্থবহ অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলার অনুনাদকেই ইঙ্গিত করছে? (ক্রমশ)
চার শত বছর আগে বিজ্ঞান ধর্মের সাথে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলো। কারণ, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিলো, একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরী হওয়া বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, যার পরিকল্পনা কারী হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর, যে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে আছে মানুষের একটা সুখকর আরামদায়ক স্থান , এমন ধারণাকে হুমকিতে ফেলেছিলো বিজ্ঞান! মানুষকে অকিঞ্চিকর, এমন কি নগন্য হিসাবে প্রতিয়মান করার ব্যাপারটা প্রভাবিত হয়েছিলো যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, সেটা শুরু (চলবে)