অনলাইন ডেস্ক : তেহরানের ইনকিলাব বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে স্কয়ারে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাজার মানুষের বিরুদ্ধে অব্যাহত ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

তিনি বলেন, আজ ইরানি জাতি, মুসলিম জাতি, মানবতা ও সব বিবেকবান মানুষের জন্য শোকের দিন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলের সংঘটিত ‘অপরাধে’ সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেন রাইসি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের এক ফোটা রক্ত ঝরা মানে, ধ্বংসের দিকে ইসরায়েলের এক কদম এগিয়ে যাওয়া। এই ইহুদিবাদী শাসকেরা এই সব নৃশংসতার মাধ্যমে তাদের পরাজয়ের ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ আমেরিকাকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠির অপরাধের সহযোগী মনে করে।

প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজার আল আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর থেকে রাজধানী তেহরানসহ সারাদেশে বিক্ষোভে নামেন ইরানিরা। আজ সারাদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইনকিলাব স্কয়ারে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়াচ্ছে এবং স্লোগান দিচ্ছে।

বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা শুধু বিবৃতি দিয়েই ইসরায়েলি অপরাধের নিন্দা জানাচ্ছে। এ বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘নিন্দা করাই কি যথেষ্ট? জাতি (মুসলিম) কি শুধু নিন্দায় সন্তুষ্ট? ক্ষোভ প্রকাশ করা কি যথেষ্ট? তাই আজ মুসলিম দেশগুলো কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছে।’

তিনি বলেন, আমি আমেরিকানদের বলছি, আজকে তোমরা ওই অঞ্চলের মানুষের চোখের সামনে অধিকৃত ফিলিস্তিনে রকেট পাঠাচ্ছো ইসরায়েলের হয়ে। তোমরা ইহুদিবাদী শাসককে অস্ত্র দিচ্ছো। গাজার জনগণের ওপর যে বোমা বর্ষণ করছে, তা তোমাদেরই সৃষ্টি। বিশ্ব তোমাদের ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধের অংশীদার মনে করে।

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলি সরকারকে জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দৃঢ় ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।