অনলাইন ডেস্ক : গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার পরও ইসরায়েলের কাছে আরও ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন বলে ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। খবর আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শক্তিশালী ও সদাপ্রস্তুত আত্মরক্ষার সক্ষমতা বিকাশ ও বজায় রাখতে ইসরায়েলকে সহায়তার বিষয়টি মার্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যাবশ্যক।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন হামাস ও হিজবুল্লাহ সিনিয়র নেতাদের হত্যার দায়ে ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে ইরান ও লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। ইরান ও এর মিত্রদের হুমকি ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে এখন বড় ধরনের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৩১ জুলাই ইরানের তেহরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারান। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস। তবে এখনো এই হামলার পেছনে জড়িত থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেনি তেল আবিব।
একই দিন লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ও স্ট্র্যাটেজিক ইউনিটের প্রধান ফুয়াদ শুকুরও নিহত হয়। এসব ঘটনার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে পশ্চিমারা।
এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে চলেছে মার্কিন বাহিনী। সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ইরান ও এর মিত্রদের হামলা থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিকভাবেও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা।