অনলাইন ডেস্ক : ইরানের প্রায় তিনশতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের সুরক্ষায় সৌদি আরব কাজ করেছে, তেল আবিবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ-এর খবরে এমনটি দাবি করা হয়। তবে এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সৌদির একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র ইসরায়েল রক্ষায় রিয়াদের পদক্ষেপ নেয়ার দাবিকে অস্বীকার করেছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদপত্র আল-আরাবিয়ার খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
রিয়াদভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যমে সৌদি আরবের সরকারি একটি ওয়েবসাইটের বরাতে একদিন আগে ওই খবর প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা জোটে অংশ নিয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সূত্রগুলো এই তথ্য অস্বীকার করেছে।
এর আগে, ওই ওয়েবসাইটের বরাতে বলা হয়, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।
সহযোগিতার নেপথ্যে কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাতে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালনা করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ।’
সৌদির একাধিক সূত্র আল-আরাবিয়াকে জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের চালানো হামলা ঠেকাতে সৌদির অংশগ্রহণ সম্পর্কে যে ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, আসলে সৌদি আরবের এমন কোনো সরকারি ওয়েবসাইটের অস্তিত্বই নেই।’
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তার আগে ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।