ইউসুফ কামাল : বার.
ইলা ঠিক সকাল ন’টায় ‘হোটেল হলিডে ইন’ এর রিসেপশনে যেয়ে পৌঁছলো। ওর ডরমেটরী থেকে হেঁটে যেতে মিনিট চারেকের মতই লাগলো। রিসিপশনিষ্ট মহিলাকে শাহেদের নাম বলে রুম থেকে ডেকে দিতে বলে সামনের সোফায় বসতে যেয়ে মনে হলো কে যেন ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মুখ ঘুরিয়ে তাকাতেই ঘা ঘেসে দাঁড়ানো শাহেদের দিকে চোখ পড়ে গেলো। একটু চমকে উঠলো, দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পর মন থেকে চাওয়া মানুষটাকে একেবারে নাগালের ভিতর দেখে। কতদিন পরে দেখা – এ ভাবে সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কোন দিন দেখেছে বলে মনে পড়লো না, ইলা নিজেই যেন লজ্জায় পড়ে গেলো। শাহেদকে আগের চেয়েও যেন আরো অনেক পৌরুষদীপ্ত ও আকর্ষণীয় মনে হলো ইলার কাছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লো, কেমন আছো?

হাসি দিয়ে শাহেদ বুঝিয়ে দিলো সে কেমন আছে, মুখে বল্লো আজকের এই মুহূর্তের কথা বলতে পারি খুব ভালো আছি। শাহেদ সোফায় বসে তাকালো ইলার দিকে – কলেজ জীবনের সেই ইলা আর বর্তমানের ইলার মধ্যেকার তফাতটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর পোশাকে ইলাকে আত্মপ্রত্যয়দীপ্ত একজন পরিপূর্ণ সুন্দরী রমনী বলেই মনে হলো। শাহেদের এই সম্মোহনী দৃষ্টির সামনে ইলা একটু লজ্জাই পেলো। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বল্লো, কতক্ষণ এসেছো? হেসে শাহেদ বল্লো, এই তো তোমার অপেক্ষাই করছিলাম। রুম থেকে পাঁচ মিনিট আগে বেরিয়েছি, যাতে আমার জন্য তোমার বেশীক্ষণ বসে কষ্ট করতে না হয়! ইলা লক্ষ্য করলো পেশাগত কারণেই যেন শাহেদ আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট হয়ে গেছে। শরীরেও একটু মেদ জমেছে তাতে বেশ ভালোই দেখাচ্ছে। কথাবার্তার সাথে পোষাক পরিচ্ছদে সত্যি যেন ওকে বিদেশীদের সাথে উঠাবসা করার যোগ্যতা সম্পন্ন দক্ষ একজন কর্মকর্তা বলেই মনে হচ্ছে। কথার মধ্যেও আরো অনেক পরিশীলিত মনে হলো, সেটা অবশ্য আগেও ছিলো তবে এখন এটা আরো অনেক বেশি পরিমার্জিত।

মনে মনে খুব ভালো লাগলো ইলার, প্রশংসার ভংগীতে বল্লো, তোমাকে দেখে আমি প্রচন্ড খুশী। তুমি তা হলে সত্যি সত্যিই এলে? প্রথমে যখন তুমি আসবার কথা বলেছিলে আমার বিশ্বাসই হয়নি, মনে করেছিলাম তুমি বোধ হয় আমার সাথে দুষ্টুমি করছো। এখন এসেছো আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে। জানো, তিন বছর আমেরিকায় এসেছি আজকের মতো কোনদিন আমার এত ভালো লাগেনি। গত তিন বছরের কষ্টের ফল মনে হয় আমি আজকে পেলাম। অনেক কষ্টের পরে হারানো কিছু ফিরে পেলে যেমন হয়। প্রচণ্ড আবেগে কিছু বলতে পারছে না। ইলার রোরুদ্যমান চোখ মুখের ভাষা দেখে শাহেদের নতুন করে অনেক খানি কষ্ট হলো ইলার জন্যে। ইলার গলার স্বরে শাহেদ ওর মানসিক অবস্থা বুঝতে পারলো,প্রসংগ পরিবর্তন করার জন্য হেসে বল্লো তুমি চাইছো আর আমি আসবো না, তাই হয় নাকি? এই তিনটে বছরের প্রতিটি দিন আমি নিজেও এমন একটা দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। কথাগুলো বলে ইলার দিকে তাকাতেই, ওর চোখ নামিয়ে নেওয়াতে শাহেদের মনে হলো এ কথাগুলোর মধ্যে ইলাও যেন ওর নিজের মনের কথার প্রকাশ করে গেলো।

তোমার সাথে ব্রেকফ্রাস্ট করবো বলে অপেক্ষা করছি, রুমে আনবো নাকি ডাইনিং এ যাবে? শাহেদের কথায় ইলা যেন বাস্তবে ফিরে এলো উঠে দাঁড়িয়ে বল্লো, চলো ডাইনিং এ যাই। শাহেদ হাঁটতে হাঁটতে ডাইনিং হলের কোণার টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে পড়লো, নিজে চেয়ার টেনে ইলাকে চেয়ারে বসিয়ে শাহেদ নিজে পাশের চেয়ারে যেয়ে বসলো। ওয়েটারকে ইশারা করে ডেকে ইলাকে বল্লো, কি খাবে বলো! আমার কিন্তু অনেক ক্ষুধা লেগেছে তোমার সাথে দেখা হবে সেই চিন্তাতে রাতেও ঠিকমতো খাওয়া হয় নাই, বলেই হেসে ফেললো। ইলা চেয়ে চেয়ে শুধু শাহেদের কার্যকলাপ দেখছে আর অবাক হচ্ছে শাহেদের পরিবর্তন দেখে, ভালোও লাগছে। শাহেদ ওয়েটারকে গুছিয়ে ব্রেকফাষ্টের অর্ডার দিলো দুই জনের জন্য, ইলাকে বল্লো তোমার জন্য আলাদা কিছু বলবো?

ইলা চিন্তা করলো মহকুমা শহরের কলেজ জীবনের সেই সব দিনগুলো যে এমনিভাবে নতুন নতুন ঘটনার মধ্য দিয়ে জীবনের এত কাছাকাছি চলে আসবে বিশ্বাসই হতে চাইছে না। জীবনটা কত পরিবর্তনশীল, কল্পনার চেয়েও জীবনটাকে এখন বড় বেশি বাস্তব মনে হচ্ছে ইলার কাছে। আজকাল ইলার মনে হয়, শাহেদের প্রতি দুর্বলতার জন্যই কি অবিনাশকে সে মোটেই সহ্য করতে পারেনি? এত সহজেই হয়তো তাই মন থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছে? অবিনাশের প্রথম বিবাহের ঘটনার আকস্মিকতায় যেন শাহেদের অভাবটাকে আরো বেশি করে অনুভব করেছে? চারিদিকের শূন্যতার মাঝে একটাই ভরসার জায়গা, ধরে নিয়েই হয়তো বা মনটাকে স্থির করে রাখতে পেরেছিলো। শাহেদ লক্ষ্য করলো ব্রেকফ্রাষ্টের খাবার নিজে না নিয়ে শাহেদের প্লেটে তুলে দিতেই যেন ইলা বেশি ব্যাস্ত। শেষে বলেই ফেল্লো, তুমি তো নিজে কিছুই নিচ্ছো না। আমি একাই খাবো নাকি?

শাহেদের কথায় ইলা বল্লো, তোমার মনে আছে, নিউমার্কেটের লিবার্টি ক্যাফেতে নোমানসহ তিনজন যখনই খেতে যেতাম তুমি ইচ্ছে করে তোমার অংশের খাবার থেকে অনেকখানি অংশ সব সময়ই আমার প্লেটে তুলে দিতে। নোমানের সামনে তখন জোরালো প্রতিবাদ করতে পারতাম না, এখন সেটার প্রতিদান দেবার এমন সুযোগ কি হাত ছাড়া করা ঠিক হবে? শাহেদ হেসে উত্তর দিলো, তাই এখন সব কিছু সুদে আসলে তুলে নিচ্ছো? ব্রেকফার্ষ্টের টেবিলে থাকতেই উর্মিলার ফোন এলো ইলার সেল ফোনে। শাহেদের সাথে ব্রেকফার্ষ্ট করছে শুনে খুব খুশী হলো উর্মিলা, জোরে একটা হাসি দিয়ে বল্লো ভালোই তো এমন একটা সংবাদ আমাকে দেওয়ার কথা ভুলে গেছো? আপন মানুষ পেলে অন্যের কথা কেই বা মনে রাখে? যাক্ রাতে শাহেদকে নিয়ে আমার বাসায় এসো। অবশ্যই আসবে, আমি অপেক্ষায় থাকবো। ইলা বল্লো তোমার সাথেই প্রথম দেখা করবো, আমরা এখনই আসছি।

ফোনের কথপোকথনে ইলার প্রতিক্রিয়া বুঝতে চেষ্টা করছিলো শাহেদ, বুঝতে পেরেছে অপর প্রান্তে উর্মিলা। কথা শেষ করে ইলা শাহেদকে বল্লো, উর্মিলার কথা তোমাকে বলেছি মনে আছে তো? শাহেদ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো, ওর মনে আছে। রাতে ওর বাসায় যেতে বল্লো দু’জনকে। আমি ওকে বলেছি, আমরা এখনই আসছি। শাহেদ নিজেও মনে মনে চিন্তা করছিলো উর্মিলার সাথে দেখা করা দরকার, কিছু বিষয়ে জরুরি আলোচনা করা দরকার। সেই সাথে ইলার জন্য আমার পক্ষ থেকে ওকে একটা বড় ধন্যবাদ তো আগে জানানো দরকার। ইলার কর্মস্থল ‘সিয়ার্স’ এ শাহেদের নিজেরও যাওয়ার একটা আগ্রহ ছিলো, তাই ইলার প্রস্তাবে সহজেই রাজী হয়ে শাহেদের হোটেল থেকে বের হলো।

প্রশস্ত পথের পাশে সুদৃশ্য ফুটপাত, দুই পাশে সাড়ি সাড়ি সব সুউচ্চ বাণিজ্যিক ভবন। শাহেদের হাঁটতে ভালোই লাগলো, ইলা বলে দিলো সামনের সিগন্যালে মেইন রোড ক্রস করে বামে যেতে হবে। দূর থেকে দেখলো কয়েকজন পথচারী সিগন্যাল বাতির ওখানে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার লাল বাতি জ্বলার অপেক্ষায়, ওরাও যেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সিগন্যালে। লাল বাতি জ্বল্লে উঠতেই রাস্তার চলমান সব গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লো। হঠাত হাতে একটা টান অনুভব করতেই তাকিয়ে দেখলো ইলা ওর হাত ধরে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে শুরু করে দিয়েছে। সবার সাথে তাল মিলিয়ে রাস্তা পার হয়ে ওপারের ফুটপাতে এসে শাহেদের হাতটা ছেড়ে ইলা দাঁড়িয়ে পড়লো। বিষয়টা শাহেদ বেশ উপভোগই করলো, ছেড়ে দিলে যে? ভালোই তো লাগছিলো। আমি তো মনে করেছি তুমি হাতটা ধরেই রাখবে।

শাহেদের কথায় ইলা লজ্জাই পেলো, নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বল্লো তুমি তো জানো না, ঠিক এমনি করেই উর্মিলা হাতে ধরে আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে। মায়া মমতা দিয়ে চলতে শিখিয়েছে, প্রথম দিকে হাত ধরে রাস্তা পার হতে শিখিয়েছে, যুদ্ধ করে বাঁচতে শিখিয়েছে। আর সেই অভ্যাস মতোই আজকে আমি তোমার হাত ধরেছি। ঊর্মিলা আমাকে ছোট্ট এক শহরের বাসিন্দাকে এই বিশাল শহরে একা বাস করার নিয়ম নীতিগুলো শিখিয়েছে। একটু হেসে বল্লো, তোমার হাত ধরবো না তো কার হাত ধরবো বলো? আর সত্যিই যদি তুমি পছন্দ না করো, তাহলে আর কখনোই ধরবো না। শাহেদের কাছে মুহূর্তটা ভালোই লাগছিলো তাই একটু কৌতুকের স্বরে বল্লো, সামনে কি আরো রাস্তা আছে নাকি পার হওয়ার মতো? তা হলে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে নিই! বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো ইলার দিকে।
ইলা হেসে খুব সহজ ভাবে নিজের হাতটা এগিয়ে দিয়ে বল্লো শক্ত করে ধরে রাখো, ছেড়ে দিও না কিন্তু। একটা শক্ত হাতের যে আমার কত প্রয়োজন ছিল ঐ দুঃসহ সময়গুলোতে, তুমি সামনে থাকলে বুঝতে! সত্যিই শাহেদ, তোমাকে বলতে তো কোন দ্বিধা নেই আমি আর পারছি না। আমি একা যুদ্ধ করতে করতে এখন ক্লান্ত হয়ে গেছি। আজ তোমার কাছে বলছি শুধু তোমার ভয়ে, তোমার কাছ থেকে আমাকে সরিয়ে রাখতে আমার সমগ্র পরিবার আমাকে নির্বাসনে পাঠাতে সামান্যতম কুন্ঠা বোধ করে নাই। যে আমি কখনো বিদেশে যাইনি তাকে সম্পূর্ণ একাকী এই বিদেশ বিভূয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমার অনিশ্চিত জীবনের চিন্তাও তারা করেনি, তাদের সামনে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিভেদটাই তখন সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দেখা দিয়েছিলো, ব্যাক্তি আমার কথা কেউ চিন্তাই করেনি। কত নির্মম আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা চিন্তা করতে পারো? জীবনটা কি শুধুমাত্র কিছু কঠোর ধর্মীয় নিয়ম নীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ?
এতবড় একটা শহরে আমি ভীষণ একা, ভয় আর একাকীত্ব কাটানোর জন্য ডাবল শিফ্ট এ কাজ করতাম শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে থাকার জন্যে। সেটাও উর্মিলা করতে দিলো না আমার শরীর ভেংগে পরবে ভেবে। একা থাকতে ভয় পাবো চিন্তা করে ওর সাথে আমাকে থাকতে বলেছিলো, রাজী হইনি ওর সংসারে সমস্যা হবে চিন্তা করে। এখন ভয় হয় কোনদিন না জানি এই একা চলতে চলতে থেমে যাই, হারিয়ে যাই পৃথিবী থেকে! কখনো মনে হয় সব কিছু ছেড়ে দেশে চলে যাই। মাত্র দুইজন মানুষের জন্য আমার এখন বেঁচে থাকা। একজন আমার ‘মা’ আর দ্বিতীয় জন হলো তুমি। তোমার কথা আর না বলে থাকতে পারলাম না, কতদিন আর না বলে থাকবো? গত তিনটে বছর আমার শক্তি, বিশ্বাস সব নিঃশেষ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাস করি, কি জন্যে বেঁচে আছি? শত ঝড় ঝন্ঝার মধ্যেও মানুষ বেঁচে থাকে বিশেষ কোনো আশায়, কারো অপেক্ষায়, কিছুর প্রত্যশায়। সেই দিক্ হারা নাবিকের মতো, যার চোখ খুঁজে ফেরে সাগর তীরের কোন একটা উজ্বল আলো-একটা বাতিঘর, নিশ্চিন্ত একটা তীরের আশায়।

শাহেদ মন্ত্রমুগ্ধের মতো ইলার কথাগুলো শুনে চলেছে, শাহেদের শক্ত করে ধরে রাখা হাতটার মধ্যে ইলা যেন আজ এই মুহুর্তে নতুন করে পরম নির্ভরশীলতার একটা আশ্রয় খুঁজে পেলো। বিগত কয়েকটা বছরের পুঞ্জীভূত কষ্টগুলো যেন একটু একটু করে হাল্কা হতে শুরু করেছে বলে ইলার মনে হলো। আরো একবার তাকালো বিশ্বস্ত মানুষটার মুখের দিকে নতুন করে চিনে নিতে।

শাহেদ সাহস দিয়ে বল্লো, আমি জানি ও বিশ্বাস করি তুমি ভয় পাওয়ার মানুষ না। তুমি একাকী যা করে দেখিয়েছো, হাজারে একজনও তা পারে না। আমি নিজে তোমার জায়গায় থাকলে তোমার মতো শক্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতাম কিনা জানি না। তোমার মতো মানুষের উপর যে শতকরা নির্ভর করা যায় তা আমি বুঝি। ‘সিয়ার্সে’র প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে শাহেদ বুঝতে পারলো কত বিশাল এই ডিপার্টমেন্ট ষ্টোর, ইলার কর্মস্থল। চারিদিকে ইউনিফর্ম পরিহিত সুশৃংখল ষ্টাফদের ঘোরাফেরা, ক্রেতাদের আনাগোনা সব মিলিয়ে এ যেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ যা দেখে শাহেদ মোটামুটি আশ্চর্য্যই হলো। হাঁটতে হাঁটতে ষ্টোরের পিছন দিকে চলে এলো ইলার পিছন পিছন, বাম দিকের কোণায় গøাস পার্টিশন করা একটা রুমের দরজায় লেখা ‘এইচ আর ডিপার্টমেন্ট’। ইলা সুইংডোর ঠেলে রুমের ভিতরে ঢুকে পড়লো। রুমের শেষের দিকে বড় টেবিলের পিছনে চেয়ারে বসা এক মহিলা।

শাহেদকে নিয়ে ইলা সামনে দাঁড়াতেই, উঠে দাঁড়িয়ে শাহেদকে অভ্যার্থনা জানানোতেই ওর বুঝে নিতে কষ্ট হলো না যে এই উর্মিলা, ইলার ত্রাণ কর্তা। সুন্দর একটা হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে সামনের চেয়ার দেখিয়ে শাহেদকে বসতে বল্লো। প্রথম দৃষ্টিতেই শাহেদের মনে হলো নির্ভর করার মতো যোগ্য ব্যাক্তির সন্ধানই পেয়েছে ইলা। (চলবে)
ইউসুফ কামাল : কেটি, টেক্সাস, ইউএসএ