স্পোর্টস ডেস্ক : সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। ফাইনালের মঞ্চে নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
আজ সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টায় মাঠে নামে দুদল। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার। আরও একটি গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আনিতা বাসেট।
সাফের ষষ্ঠ আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ আসরে শিলিগুড়িতে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে হতাশ হয় লাল-সবুজের দল। তবে এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাল।
এদিন খেলার ১৩তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে লিড পায় বাংলাদেশ। ১০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র স্বপ্নার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। আর মাঠে নেমেই তিন মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। ডান দিক থেকে মণিকা চাকমার ক্রস পেয়ে ডি বক্সে থাকা শামসুন্নাহার পায়ের আলতো শটে নেপালের জালে বল জড়ান।
ম্যাচের ৪২তম ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাবিনার বাড়ানো এক থ্রু পাসে গোলটি করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।
বিরতির পর অবশ্য পাল্টা আক্রমণ চালায় নেপাল। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে তারা সফলতাও পায়। আনিতার বাসেটের ডান পায়ের জোরাল শটে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা।
তবে ৮ মিনিট পরে ফের ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। ৭৮তম মিনিটে মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ডি বক্সের ডান দিকে লম্বা পাস পান কৃষ্ণা। সুযোগ হাতছাড়া করেননি। নেপালি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ান নেপালের জালে।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-১ ব্যবধানের আনন্দ নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন বাংলাদেশের সাবিনা।
এর আগে গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। পরে সেমিফাইনালে ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়।