ইউএনবি : বাংলাদেশ-ইতালির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিপদে ফেলতে পারে, এমন সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দেওয়ার সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী কখনো বাংলাদেশিদের ‘ভাইরাস বোমা’ বলেননি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে উল্লেখ করে আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যম এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে বাংলাদেশিরা ‘ভাইরাস বোমা’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলতে চায়, ইতালির প্রধানমন্ত্রী কখনো বাংলাদেশিদের সম্পর্কে এ জাতীয় কোনো কথা বলেননি।

বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায় ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন কোনো সংবাদ প্রচারের সময় গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিবৃতিতে। দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝার জন্য এবং সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীসহ বিশ্বজুড়ে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সংবাদ প্রচারের সময় কিছু ইতালীয় পত্রিকা বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে কারও কারও মধ্যে করোনাভাইরাস রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইতালিতে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কয়েকজনের উদ্ধত আচরণের কারণে সে দেশের সংবাদপত্রগুলোয় এ সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ইতালিয়ান জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস বা অসন্তুষ্টি তৈরি করেতে পারে। এমনকি একটি পত্রিকা বাংলাদেশি ‘ভাইরাস বোমা’ শিরোনামেও সংবাদ প্রকাশ করেছে।

সাম্প্রতিক সফরকালে একটি স্পেনীয় টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন যে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে আসা ফ্লাইটে ২০ ভাগেরও বেশি যাত্রী কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেছে। ইতালি আবারও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবে না। সে লক্ষ্যে ইতালি বাংলাদেশ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশ একমাত্র দেশ নয়। ইতালি বিশ্বের অন্য ১২টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি ২০২০ সালের ১৪ জুলাই পর্যালোচনা করা হবে।