ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি : ইতালির মিলানে রশিদ হাওলাদার হত্যার বিচার চায় তার পরিবার। মেয়েকে উক্তত্য করার প্রতিবাদ করায় মূলত খুন হতে হয়েছিলো রশিদ হাওলাদার (৪৫)কে। রশিদ হাওলাদারের মেয়ে এক সন্তানের মা আব্দুল জুথি আক্তার ( ২০)কে বিভিন্ন সময় উক্তত্য করে আসছিলো আসামী সোহাগ ফরাজী।

জুথিকে রাস্তায় একা পেয়ে অশ্লীল কথা বলে সোহাগ ফরাজী। এঘটনার প্রতিবাদ করে মেয়ের বাবা রশিদ হাওলাদার। ঘটনার দিন সন্ধায় রশিদ হাওলাদার পরিবার নিয়ে মিলানের ভিয়া সেরমিনাতে পার্কে বসে থাকলে পিছন থেকে সোহাগ ফরাজী দলবল নিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ আসতে দেখে আসামীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ্যাম্বুলেন্স এসে রশিদ হাওলাদারকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রশিদ হাওলাদারের ভাই জাকির হোসেন বোরহান ( ৪১) আহত হন।

বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে মামলা করা করেছে।

এরমধ্যে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কৃতরা হলো- সোহাগ ফরাজী,সোহেল ফরাজী, সুমন ফরাজী, পলাশ ফরাজি এবং শামিম হোসেন। নিহত এবং আসামীরা সকলেই মুন্সিগন্জ সদরের আদরা ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নিহত রশিদ হাওলাদারের স্ত্রী রিনা বেগম ( ৪৫) তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন। দুই ছেলে আব্দুল রোমান (২৩), আব্দুর রনি (১৫) এবং মেয়ে আব্দুল জুথি আক্তার ( ২০) তারা তাদের পিতার হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে আর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মিলানে বসবাসকারী মুন্সিগন্জের সাধারণ মানুষ।

নিহতের পরিবারের দাবি আসামীদের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মিলান বিএনপি’র সহসভাপতি আনোয়ার ব্যাপারীর নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামী আনোয়ার ব্যাপারীও লোক দিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলেও জানায় নিহতের পরিবারের লোকেরা।

আনোয়ার ব্যাপারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, একটি কুচক্রীমহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গুজব ছড়াচ্ছে। উল্লেখ্যা গত ১৮ই জুলাই মিলানে দুষ্কৃতীকারীদেক হাতে রশিদ হাওলাদার নিহত হয়।