স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরোর ফাইনাল আজ অদ্ভুতভাবে ফিরিয়ে আনছে ষাটের দশককে। সেই ষাটের দশকে নিজেদের ইতিহাসের একমাত্র ‘মেজর’ শিরোপা বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড, সেই থেকে আজ পর্যন্ত খেলতে পারেনি কোনো ফাইনালেই। আজ (রোববার) সে খরা ঘোচানোর দিন। যাকে আদর করে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম, স্থানীয়রা ‘ইটস কামিং হোম’ বলছেন।

ষাটের দশক ফিরিয়ে আনতে পারে ইতালিও। বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল ইতালি যে সর্বশেষ ইউরো জিতেছিল সেই ১৯৬৮ সালে! আজ্জুরিরা আজ আবারও সেই স্মৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে আজকের ফাইনালে, শিরোপা জিতে। সেক্ষেত্রে ইউরো ফুটবলের ‘হোমে’ না গিয়ে চলে যেতে পারে রোমেও।

ইউরোর ফাইনালের চৌকাঠটা অবশ্য ইংল্যান্ডের মতো অচেনা নয় ইতালির। ২০০২ আর ২০১২ সালের ফাইনালে খেলেছিল আজ্জুরিরা। সেই ইতালির সঙ্গে এই ইতালির ফারাকটা অবশ্য বিস্তর। আগের ইতালি যেখানে রক্ষণাত্মক ‘কাতানোচ্চিও’ ফুটবলের ধারকবাহক ছিল, কোচ রবার্তো মানচিনির অধীনে সেই ইতালিই সে তকমা ঝেড়ে ফেলে এখন খেলছে ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল।

ইংল্যান্ড দলও কিছুটা পাসিং ফুটবলের ধারণায় খেলে, তবে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা অ্যাপ্রোচের দিক থেকে অন্তত ইতালির চেয়ে বেশি রক্ষণাত্মক। তবে যাই হোক, দুই কোচের এ কৌশল যে অব্যর্থ, তা আর বলতে। নাহয় কি আর ইউরোর ফাইনালে আসা সম্ভব হয়?

এতদূর এসে খালি হাতে কেই বা ফিরতে চায়? ইংলিশ কিংবা ইতালি, কেউই এ দলে থাকতে রাজি নয়। দুই কোচই যেমন বললেন, ফাইনালে আসাটাই যথেষ্ট নয়।

কোচ সাউথগেট নিজের জন্য বেশ কঠিনভাবেই দেখছেন বিষয়টা। বললেন, ‘এতদূর এসেছি আমরা, তবে এটাই যথেষ্ট নয় আমাদের। ফাইনালে ইতালিকে হারাতে না পারলে পরিস্থিতিটাই বদলে যাবে। এখন যে সব সুন্দর বার্তা মিলছে দলের জন্য, সোমবার সেটা থাকবেই না!’

ইতালি কোচ মানচিনির জন্য অবশ্য বিষয়টা অত কঠিন নয়। এই দলটাই খেলতে পারেনি ২০১৮ বিশ্বকাপে। তার দল ফাইনালে খেলাটাই তো বড় অর্জন। আজ্জুরি কোচ তা মেনে নিলেও জয় ছাড়া ফিরতে চান না। বললেন, ‘ফাইনালে আসাটা বড় অর্জন, তবে এটা দলের জন্য যথেষ্ট নয়। সফলতা শুধু ফাইনালের ওপর নির্ভর করবে। কারণ দিনশেষে মানুষ জয়ীদেরই মনে রাখবে।’

ইতালি-ইংল্যান্ড ইউরো ২০২০ এর ফাইনাল কবে কখন?
তারিখ – ১২ জুলাই, ২০২১, সোমবার।
সময় – বাংলাদেশ সময় রাত ১টা।
ভেন্যু – ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম (লন্ডন)।

যে চ্যানেলে দেখা যাবে: সনি সিক্স, সনি টেন-টু।
অনলাইনে যেভাবে দেখবেন: সনিলিভ, বঙ্গো বিডি, টফি অ্যাপে।