Home কলাম ইউরোপীয়ান লেখকগণের লেখায় বৌদ্ধ জাতকে রামায়ন ও মহাভারত

ইউরোপীয়ান লেখকগণের লেখায় বৌদ্ধ জাতকে রামায়ন ও মহাভারত

সোনা কান্তি বড়ুয়া : আজও ইউরোপের ইউরোপীয়ান লেখকগণের লেখায় এবং গবেষণষয় কোন্ কোন্ বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে হিন্দু ব্রাহ্মণেরা রামায়ন ও মহাভারত রচনা করেছেন?
হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে (১) রামায়ন (২) মহাভারত (৩) বেতাল পঞ্চবিংশতি (৮) পঞ্চতন্ত্র, (৫ ) HITOPADESA এবং (৬) কথাসরিৎসাগর রচনা করেছেন (WEEKLY BARTAMAN MAGAZINE EDITORIAL page 4, dated 2 January 2016)!
১৮৯৭ সালে Mr. H. LUDERS এর লেখা “LEGEND IN THE EPICS AND IN THE PALI JATAKAS“ বই এবং RENATE SÖHNEN – THIEME এর লেখা “BUDDHIST TALES IN THE MAHABHARATA” বই ২টি (Please find it in your Google) প্রকাশে স্বীকার করেছেন হিন্দু ব্রাহ্মণ লেখকগণ বৌদ্ধ জাতককে বদলায়ে মহাভারত বানিয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে ঝড় ওঠে ইউরোপের German & ব্রিটেনে। বিখ্যাত ইউরোপীয়ান সাহিত্যিকগণকে গভীর ভাবে প্রভাবিতকরেছে, তাঁরা বার বার ফিরে এসেছেন বই ২টির কাছে। ক্রমশ তার আঁচ পড়তে থাকে আমেরিকা এবং ইউরোপের অন্যান্য রাজ্যে। ছড়াতে থাকে গোটা বিশ্বেই। হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির “সত্য” বড় বিষম বস্তু। রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপের ফলে তাতে কোপ পড়লে গণতন্ত্রের বিপদ, আবার শাসকবর্গের কায়েমি স্বার্থে তার বাগাড়ম্বর ও সমস্যাকর। বস্তুত, সত্যকে সহজ ভাবে প্রকাশিত হতে না দিলে তা কি আর সত্য থাকে? রামায়ন ও মহাভারতের কথাই ধরা যাক।

হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির হিন্দুগণ হিন্দু মন্দিরে বুদ্ধ পূজা না করেও “রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের (অধ্যায়) বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতম বুদ্ধকে চোর বলে গালাগাল এবং বৌদ্ধগণকে নীচ জাতি করে রাখেন। চর্যাপদে আমরা দেখতে পাই সেন আমলে সর্বগ্রাসী হিন্দু রাজনীতি গায়ের জোরে উচ্চবর্ণের হিন্দু শাসকগণ বৌদ্ধগণকে দলিত বানিয়েছিলেন (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২)! ১৮৯৬ সালে বৌদ্ধ পন্ডিত হেনরি ওয়ারেন ক্লার্ক “বুড্ডিজম ইন ট্রানশ্লেশন“ শীর্ষক মূল্যবান গ্রন্থ লেখা এবং হার্ভাট অরিয়েন্টাল সিরিস সম্পাদনা করে অমর হয়েছেন। হিন্দুরাজনীতি ও হিন্দু ব্রাহ্মণেরা বৌদ্ধ জাতক থেকে রামায়ন ও মহাভারত রচনা করার গভীর ষড়যন্ত্র এবং রহস্য দ্রæত উদঘাটন করা হয়েছে! হিন্দু লেখকগণ বৌদ্ধ দশরথ জাতককে বদলায়ে হিন্দু রামায়ন এবং ১০০ বৌদ্ধ জাতককে বদলায়ে মহাভারত বানিয়েছে! হিন্দুরাজা শশাংক বৌদ্ধদের প্রার্থনার জায়গা (৬৫০ সালে) বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষ ধ্বংস করেছিলেন! হিন্দু শাসক শশাঙ্ক, আদি শঙ্করাচার্য্য এবং কুমারিল ভট্ট ফতোয়া দিলেন, “বৌদ্ধ মাত্রই বধ্য বা বৌদ্ধদেরকে হত্যা কর (পৃষ্ঠা ১২, দেশ, কলিকাতা, ৪ মে, ২০০১)।”
হিন্দু ব্রাহ্মণেরা বৌদ্ধ দশরথ জাতক থেকে রামায়ন রচনা করেছেন! গৌতমবুদ্ধ তাঁর ভিক্ষুসংঘকে উপদেশ প্রসঙ্গে দশরথ জাতক (রামায়ন) সমাধান করতে গিয়ে বলেছেন, “তখন (পূর্ব জন্মে) শুদ্ধোধন রাজা ছিলেন দশরথ মহারাজা, মহামায়া ছিলেন সে মাতা, রাহুলমাতা (গোপা) ছিলেন রাজকুমারী সীতা, আনন্দ ছিলেন রাজপুত্র ভরত, সারীপুত্র ছিলেন রাজপুত্র লক্ষন, বুদ্ধ পরিষদ সে পরিষদ, আমি (বুদ্ধ) ছিলাম সে রাম পন্ডিত (দশরথ জাতক নম্বর ৪৬১, জাতক অট্টকথা, পালি টেক্সট সোসাইটি, লন্ডন)।

রাম মন্দির আন্দোলনের উত্তাল ঢেউয়ের মাথায় ১৯৯২ সালে ৬ই ডিসেম্বর প্রায় দুই হাজার অপাপবিদ্ধ মানুষ হত্যা করা হয়েছিল! এবং বাবরি মসজিদ ভেঙে সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য ভারত জাতিকে নষ্ট করে দেবে! হিন্দু যেই মানব, মুসলমান ও সেই মানব। মানুষ মানুষকে হিংসা করা আইনত: দন্ডনীয়! ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বাঙালি বৌদ্ধ বীর বিজয় সিংহের শ্রীলঙ্কা জয় দেখানো হয়নি কেন? ব্রাহ্মণ্যবাদের জঘন্য চাতুরীর ইতিহাস লিখতে গেলে একটি মহাভারত লিখতে হয়। বৌদ্ধ প্রধান দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক মহানগরীর বিখ্যাত রাজকীয় এমারেল্ড (মরকত মনি) বুদ্ধ মন্দিরের চারিদিক জুড়ে আছে দশরথ জাতকে রামকীর্তির অভিনব চিত্রশালা।

হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়। বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থানুসারে, ১৮৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে (B. C.) মৌর্য্য রাজবংশের নবম বৌদ্ধসম্রাট বৃহদ্রথের (5th Generation of Emperor Asoka) প্রধান সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য্য সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে শক্তি প্রদর্শনের সময় তাকে হত্যা করে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটান ও শুঙ্গ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করে চলেছে। বৌদ্ধ সম্রাটের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মহামতি সম্রাট অশোকের বংশজ মৌর্য বংশের সর্বশেষ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল এবং বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে (১) রামায়ন (২) মহাভারত (৩) বেতাল পঞ্চবিংশতি (৮) পঞ্চতন্ত্র, (৫) HITOPADESA এবং (৬ ) কথাসরিৎসাগর রচনা করেছেন! বৌদ্ধ নলিনীকা (৫২৬) এবং কট্টহারী জাতক হতে নেওয়া হয়েছে মহাভারতের শকুন্তলা ও রাজা দুস্যনের প্রেম কাহিনী। কট্টহারীর নাম পরিবর্তন করে শকুন্তলা রাখা হয়েছে এবং বারানসীর রাজার পরিবর্তে রাজা দুস্যনের নাম রাখা হয়েছে।

তাই বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা ছিল কেন? বুদ্ধগয়ায় সংখ্যাগুরুর ‘হিন্দুনেস’ আপত্তিকর না হলেও সংখ্যালঘুর ‘বৌদ্ধনেস’ ঢের সমস্যাজনক। সংখ্যাগুরু হিন্দুর ধর্মাচরণে, সংস্কৃতিতে কেউ বিপন্ন বোধ করে না। কিন্তু সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের বেলা গল্প আলাদা। তখন তাঁদের ক্ষেত্রে সংবিধানস্বীকৃত আত্মপরিচয়ের বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া অধিকারকে ও দেশের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেওয়া চলে (Temple Act 1949)! কেবল পর্দাতেই নয়, বাস্তবেও নাগরিক থেকে রাষ্ট্র সকলের চোখে দলিত বৌদ্ধকে সহজেই ‘ভিলেন’ বানানো চলে। তখন সংখ্যাগুরুর এই রাষ্ট্র তাঁর এমন একটি ভাবমূর্তি নির্মাণ সম্পূর্ণ করে, যাতে তার আত্মপরিচিতির অন্যতম অভিজ্ঞানবৌদ্ধ দলিতনেস ’ও খোদ বৌদ্ধ দলিত সমাজের মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি করে।

সমাজের সামনে সে তার ‘বৌদ্ধ দলিত পরিচয় জ্ঞাপন করতে ও ভয় পায়, লজ্জা পায়। তার ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বা ব্যক্তিগত পছন্দের চিহ্ন প্রকাশ তো দূরের কথা। বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়ায় বৌদ্ধ ইতিহাস কেড়ে নেবার নাম কি হিন্দুধর্ম? হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ বৌদ্ধরা নমঃশূদ্র ও দলিত হলো! মানব জাতির মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই উচ্চবর্ণের হিন্দুরাজনীতির হিন্দু ধর্ম! এবং শূদ্র দলিত মা বোন কুকুর বিড়াল হলো কেন (মনুস্মৃতি ১১/ ১৩২)?

বৌদ্ধ জাতক গ্রন্থের ৪৫৪ নাম্বার ঘটজাতক জাতক হতে বাসুদেব বা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জিবনি! ব্রাহ্মণেরা কৃষ্ণকে মহাভারতের রচনাকারীরা নিয়েছেন ঘটজাতক (৪৫৪) বা বাসুদেব জাতকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাতার নাম দেবগর্বা (দেবকি), পিতার নাম রাজপুত্র UPASAGAR, শ্রীকৃষ্ণের পালক মাতার নাম নন্দগোপা ( যশোদা) এবং রাজধানীর নাম দোয়ারাবতী (দারিকা)। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম বাসুদেব, তাঁর ভাইয়ের নাম বলদেব, ঘট সহ দশভাই ছিলেন। জরা নামক ব্যায়াধের আঘাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হয়েছিল। সম্ভব জাতক (৫১৫) থেকে ইন্দ্রপ্রস্থ নগরে ধনঞ্জয় কৌরব্য নামে (Generation of King Judhidtira) রাজা ছিলেন। কুণালজাতকে দ্রৌপদী বা কৃষ্ণার পঞ্চস্বামী ছিল। সম্ভব জাতক (৫১৫) থেকে ইন্দ্রপ্রস্থ নগরে ধনঞ্জয় কৌরব্য নামে (Generation of King Judhidtira) রাজা ছিলেন। কুণালজাতকে দ্রৌপদী বা কৃষ্ণার পঞ্চস্বামী ছিল। জাতক কথায় যিনি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ঋষি তাঁরই নাম মহাভারতের লেখক ব্যাসকে দিয়েছেন।

হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধ ধর্মচক্রকে বদলায়ে অশোকচক্র বানিয়েছে এবং সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করেছেন। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বৌদ্ধ চিন্তাধারাপুষ্ঠ অশোক চক্র (ধর্মচক্র) ভারতের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় এমবেøম বা সরকারী স্মারক চিহ্ন রুপে বিরাজমান! মানবতাবাদী বৌদ্ধময় ভারতবর্ষকে ধ্বংস করে ব্রাহ্মন্যবাদের হিন্দুধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বৌদ্ধ জাতক থেকে (১) রামায়ন (২) মহাভারত রচনা হয়েছে! অথচ “বন্দে মাতরম” শীর্ষক কবিতার লেখক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ (বুদ্ধ) অনন্তকালস্থায়ী মহিমা বিস্তারপূর্বক, ভারতাকাশে উদিত হইয়া, দিগন্ত প্রসারিত রূপে বলিলেন, আমি তোমাদের রক্ষা করিব। বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা। যাগযজ্ঞ মিথ্যা। বেদ মিথ্যা, সূত্র মিথ্যা, ঐহিক সুখ মিথ্যা, কে রাজা, কে প্রজা, সব মিথ্যা। ধর্মই সত্য। মিথ্যা ত্যাগ করিয়া সকলেই সত্যধর্ম পালন কর। (বঙ্কিম রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২ থেকে ৩৮৩, সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত!

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ইউরোপের ইউরোপীয়ষন লেখকগণের লেখায় এবং গবেষণষয় হিন্দু লেখকগণ বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থ (১) রামায়ন (২) মহাভারত রচনায় Human protagonists. ইউরোপের ইউরোপীয়ষন লেখকগণের লেখায় বৌদ্ধ জাতক থেকে মহাভারত! (১০.) RAJOVADA জাতক (১৫১) মহাভারত ৫,৩৯.৫৮ (Dhammapada 223) মহাভারত ৩, App. I, no. 21,2 ১১. Silavimaüsa জাতক (৩৩০) মহাভারত ১২,১৬৮.৪৬-৫২৪ মহাভারত ১২,১৭১.৬১, ৪৭৫*১-৮ ১২. Kuntani জাতক (৩৪৩) মহাভারত ১২,১৩৯ (Pujani) ১৩. Vighasa জাতক (৩৯৩) মহাভারত ১২,১১ ১৪. Ananusociya জাতক (৩২৮) মহাভারত ১২,১৪৯.৪-১১ ১৫. Uraga জাতক (৩৫৪) মহাভারত ১৩,১ ১৬. [ঝরার জাতক (৪৯৯)] মহাভারত ৩,১৩১, App. I, no. 21,5 ১৭. Sutasoma জাতক (৫৩৭) মহাভারত ১,১৬৬-১৬৮ (Kalmaùapada) মহাভারত ১৪,৫৬-৫৮ (Uttaïka)! ৫৪৭ নাম্বার জাতক হল রাজা বেস্সান্তরের কাহিনী কথা চুরি করে হিন্দু রাজা হরিশচন্দ্রের কাহিনী। দানের গুরুত্ব ও মাহাত্মকে বুঝাতে এ জাতক কথার অবতারণা হয়েছে। এখানে রাজা বেস্সান্তরকে অতীব দানশীল দেখানো হয়েছে। কেবল তা নয় তিনি স্বীয় ছেলে-মেয়ে ও দান করে দিয়েছিলেন। One might equally well have listed them according to the moral, be it a vice or a virtue that is pointed out, according to motifs, or according to names and characters by Mr. RENATE SÖHNEN!

বৌদ্ধদের জাতক কথা চুরি করে ব্রাহ্মণেরা এক কাহিনী অন্য কাহিনীর সাথে সংমিশ্রন করে এবং সে কাহিনীগুলোর একটির সাথে অন্যটির কোন সম্বন্ধ না থাকার পরেও পৃথক পৃথক কাহিনীকে যুক্ত করে করে রামায়ন ও মহাভারতের মত ভারী মহাকাব্য গ্রন্থ তৈরী করেছেন। Kastahari জাতক (৭) শিবি জাতক (৪৯৯), KUNAL Jatak (536) এবং ঘট জাতককে (৪৫৪) বদলায়ে হিন্দু মহাভারত বানিয়েছে!

Summodamana জাতক (no. 33) মহাভারত ৫,৬২.৬-১৫ পঞ্চতন্ত্র, ২ ২. Mitacintijataka (114) MBh 12,135 পঞ্চতন্ত্র, 1.14 Hitopadesa 4.3(a) Mahasukajataka জাতক (৪২৯) মহাভারত 13,5 (b) Cullasukajataka জাতক (৪৩০) ৪.Vaññakajataka (35) মহাভারত ১, 220 (Sarïgakopakhyana) ৫. (a) Biëarajataka জাতক (১২৮) মহাভারত ৫, App. I, no. 9 (b) Dhammaddhajajataka জাতক (৩৮৪) MBh 2,38.28-40 6. Vyagghajataka জাতক (২৭২), মহাভারত ৫,৩৭.৪০-৪২, ২৯.৪৭-৪৮ ৭. Suvaõõahaüsa জাতক (১৩৬) মহাভারত ২,৫৫.১২-১৪ মহাভারত ৭, App. I, no. 8 MBh 12, 29–30 ৮. Sasajataka জাতক (৩১৬) [মহাভারত ১২,১৪১-১৪৫ Pañcakhyanaka 3.7] ৯. Sandhibheda জাতক (৩৪৯) মহাভারত ১২,১১২ পঞ্চতন্ত্র, ১ দশরথ জাতক (৪৬১) এবং Vessantara জাতককে বদলায়ে হিন্দু লেখকগণ হিন্দু রামায়ন বানিয়েছে!

১৮৭৯ সালে লন্ডন টাইম পত্রিকার সম্পাদক বিখ্যাত “লাইট অব এশিয়া” শীর্ষক গৌতমবুদ্ধের জীবনী ইংরেজি ভাষায় কবিতা রচনা করে জগৎ জুড়ে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। স্যর এডউইন আর্নল্ডের লেখা দ্য লাইট অব এশিয়া’ এবং তাঁর এই বইটিতে শীর্ষক গৌতমবুদ্ধের দর্শনের অতি বিশ্বস্ত প্রতিফলন ঘটেছে! কিন্তু এটা সত্য যে মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, বাবাসাহেব আম্বেডকরের মতো ভারতীয় নেতাদের জীবনে তা এক সুরের মতো বয়ে গিয়েছে। আবার অন্য দিকে ভারত বা এশিয়ার বাইরেও আন্তর্জাতিক স্তরে গৌতম বুদ্ধকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য লেখা দ্য লাইট অব এশিয়া-র অবদানকে আজ অস্বীকার করা অসম্ভব। পাঁচ জন নোবেলজয়ী- রুডইয়ার্ড কিপলিং, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ডবিøউ বি ইয়েটস, ইভান বুনিন, টি এস এলিয়ট। বাকি ছ’জনের মধ্যে রয়েছেন লিয়ো টলস্টয়, ডি এইচ লরেন্স, হর্হে লুই বর্হেস, হেরম্যান মেলভিল-এর মতো নাম! বাঙালি থেকে ব্রিটিশ, রুশ, মার্কিন সাহিত্যিকরা মুগ্ধ এই জীবন-কবিতায়। ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতারণার রাজনীতিতে মহামতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারত ভূমি ও দেশ দখল করার নাম POLITICAL হিন্দুধর্ম! কোন হিন্দু মন্দিরে সকাল বিকাল বুদ্ধ পূজা না করে ও গৌতমবুদ্ধ হিন্দু রাজনীতির অবতার হ’ল!

স্যর এডউইন আর্নল্ডের (লন্ডন) লেখা (১৮৭৯ সালে) মহামতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারত গোলেমালে হিন্দু ইন্ডিয়া হল কেন? বৌদ্ধ জাতক চুরি করে মহাভারত সংবাদ ইউরোপীয়ষন সাহিত্য বইতে! হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ (খৃষ্ট পূর্ব ১ম শতাব্দী)সহ চক্রান্তকারীরা বিভিন্ন হিন্দু জঙ্গীদের সাথে ক‚ঠনীতি করে উপমহাদেশে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞে বৌদ্ধ ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতেবৌদ্ধ জাতক থেকে মহাভারত ১৬৫ খৃষ্টপূর্বাব্দের পরেই লিখা হয়েছে।

প্রথম বারের মত আমেরিকা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে হোয়াইট হাউজে ২০২১ সালে বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে, যেখানে থেরবাদ, মহাযান, বজ্রযান এবং অন্যান্য বৌদ্ধ পরম্পরার হাজার হাজার ভিক্ষু-ভিক্ষুণীগণ একত্রে সম্মিলিত হয়েছেন। উইলিয়ম ফোর্ড জুনিয়র (চেয়রম্যান, ফোর্ট মোটর কোম্পানী), স্টীব্স জব্স (এপলের প্রভূ) এবং রবার্ট থারমান (হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) প্রমুখের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। অসংখ্যের মধ্যে এগুলি কয়েকজনের নাম কেবল উল্লেখ করা হল যাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা নিয়েছেন।
১৮৭৫ সালে আমেরিকার বৌদ্ধ আন্দোলনের অগ্রদূত মহাত্মা কর্নেল হেনরি ষ্টিল অলকট থিউসোফিক্যাল সোসাইটির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় (সিংহল) গিয়ে মুখোমুখি বৌদ্ধধর্মের পক্ষ নিয়ে খ্রীষ্ঠান পন্ডিতদের সাথে তর্ক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিান বিশ্ববৌদ্ধ ফেলোশিপের পতাকা এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধধর্মের রতœমালা (ক্যাতেসিজম) সম্পাদনা করেছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরনায় শ্রীলঙ্কার অনাগারিক ধর্মপাল তাঁর পুরানো ডেভিড নাম ত্যাগ করে ধর্মপাল নামে পরিচিতি হয়েছিলেন।

গত বছর কানাডার বৌদ্ধ পত্রিকা সুমেরু (ও অতীশ দীপঙ্কর ফেসবুকে) সংবাদছিল. “ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী মহামান্য জর্জ অসবোর্ন রাজনীতির রাজসিংহাসন ত্যাগ করে বেীদ্ধ ভিক্ষু হয়েছেন এবং নেপালের গভীর জঙ্গলে ধ্যান প্রশিক্ষণ বৌদ্ধ মন্দিরে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ উক্ত সংবাদ পাঠে পুলকিত এবং আনন্দ বোধ করছেন যে, বাংলাদেশের পাহাড়পুরের মতো কানাডায় ১,৭০০ একরের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার নির্মিত হচ্ছে অহিংসা পরম ধর্ম মানব সমাজে প্রচারের জন্যে।

১৮৭৯ সালে লন্ডন টাইম পত্রিকার সম্পাদক বিখ্যাত ’লাইট অব এশিয়া’ শীর্ষক গৌতমবুদ্ধের জীবনী ইংরেজি ভাষায় কবিতা রচনা করে জগৎ জুড়ে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। বিভিন্নদেশের বৌদ্ধ বিহারে ইসলামি জঙ্গীদের তান্ডব দাহন হলে ও ইউরোপ এবং আমেরিকায় বাংলাদেশের প্রাচীন পালরাজত্ব ও বঙ্গরতœ অতীশ দীপঙ্কেরের বৌদ্ধধমের্র বিপুল বিজয়। বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্যে ১৮৯৪ সালে আমেরিকান বৌদ্ধ লেখক পল সারাস ’দি গসপেল অব বুড্ডিজম’ রচনা করেছিলেন। অনাগরিক ধর্মপাল সহ চীন, শ্রীলঙ্কা এবং জাপানী বৌদ্ধদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমেরিকা এবং কানাডায় অনেক মন্দির স্থাপিত হয়েছিল। আমেরিকায় বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্যে ১৮৯৭ সালে লেখক পল সারাস জাপানী জেন (ধ্যান) বৌদ্ধধর্মের মহাপন্ডিত মহামহোপাধ্যায় ডি টি সুজুকিকে আমেরিকায় আসার নিমন্ত্রন করলেন। ডি টি সুজুকির বৌদ্ধ ধ্যানের বক্তৃতামালা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ এবং বুদ্ধিজীবি জগতে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।

পলিটিক্যাল হিন্দুধর্ম ভারতীয় বৌদ্ধগণের মানবাধিকার হরণ করেছে। জাতিভেদ প্রথা ভিত্তিক হিন্দুধর্মে বৌদ্ধদের বিন্দুমাত্র ও অস্তিত্ব নেই। গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুরাজনীতি হিন্দুদের অবতার বানিয়ে বুদ্ধগয়া দখল করে নয়জনের বুদ্ধগয়া ম্যানেজম্যান্ট কমিটিতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সহ আর ও চারজন হিন্দু সদস্য কেন? ভারতে জৈন, মুসলমান, শিখ এবং খৃষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন হিন্দু সদস্য নেই। কোলকাতার দেশ পত্রিকার মতে, “মহাভারতের যুগে শ্রীকৃষ্ণ তাঁহার সুদর্শন চক্র অরিকুলের দিকে নিক্ষপ করিলে আর রক্ষা ছিল না। সাঁ করিয়া ঘূর্ণায়মান চক্র প্রতিপক্ষের মুন্ডপাত করিত। মুখের কথা মুখেই রহিত স্কন্ধ হইতে মস্তকচ্যুত হইত। (পৃষ্ঠা নং ২৮, দেশ, ২ মে, ২০০৫)।”

গৌতমবুদ্ধের ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়া কে হিন্দু রাজনীতি ও আজ দখল করে আছে। হিন্দু রাজনীতির অন্যায়ের বিরুদ্ধে বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ! সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর বৌদ্ধ ভারতে ব্রাহ্মণ্যধর্মী হিন্দু মৌলবাদের হরিলুট! বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা কেন? বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়ায় ইতিহাসে জাতক কেড়ে নেবার নাম কি হিন্দুধর্ম? বুদ্ধকে হিন্দু মন্দিরে পূজা না করে ও হিন্দুরা গৌতমবুদ্ধকে’ ‘অবতার’ বলে! ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর রচিত “ভারত সন্ধানে (ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া)’ শীর্ষক গ্রন্থে ১৫০ পৃষ্ঠায় প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আঁন্দ্রে ম্যালরো রহ ১৯৪১ জওহরলাল নেহেরুকে করেছিলেন, “How did Brahmanism destroy Buddhism? শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে জওহরলাল নেহেরু বাবু হিন্দুরাজনীতি বা শঙ্কারাচার্য্য কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের কথা একবার ও উল্লেখ করলেন না। নেহেরু যতই বৌদ্ধধর্মের জয়গান করলেন না কেন, পরিশেষে তাঁদের পরিচিতিতে হিন্দুত্ব! বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!

Exit mobile version