অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়াকে রুখতে এককাট্টা পশ্চিমা বিশ্ব। মস্কোকে সামলাতে ইউরোপজুড়ে সেনা সমাবেশ জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটনসহ মিত্ররা। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম পোল্যান্ডে পৌঁছানো শুরু করেছে বলে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার জানিয়েছে পোলিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউরোপে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বহরকে শক্তিশালী করতেই এই সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের সীমান্তে দীর্ঘ সময় ধরে লাখো সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের দাবি, দেশটিতে অভিযান চালাতেই মস্কোর এই তোড়জোড়। এমন দাবি রাশিয়া বারবার উড়িয়ে দিলেও মানতে নারাজ পশ্চিমা দেশগুলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, রাশিয়াকে সামাল দিতে পূর্ব ইউরোপে প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করবে দেশটি।
পোল্যান্ডে মার্কিন সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্লাশজ্যাক। বুধবার তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ব্র্যাগ সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ সেনা পোল্যান্ডে আসার কথা রয়েছে। তাঁরা সাময়িকভাবে দেশটিতে অবস্থান করবেন। একই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। একই সঙ্গে প্রায় ৩০০ মার্কিন সেনাসদস্য জার্মানিতে মোতায়েন করা হবে।
এদিকে বুধবারের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ‘আগাম দল’ পোল্যান্ডে পৌঁছেছে। এ নিয়ে টুইটারে একটি পোস্টও করেন তিনি। সি-১৩০ হারকিউলিস মডেলের একটি পরিবহন উড়োজাহাজ থেকে সেনাসদস্যরা সামরিক সরঞ্জাম খালাস করছেন—এমন একাধিক ছবি ওই পোস্টে সংযুক্ত করে মন্ত্রী মারিউস ব্লাশজ্যাক লেখেন, এটি মিত্রদের মধ্যকার সংহতির একটি স্পষ্ট সংকেত।
পোল্যান্ডে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে টিভিএন ২৪ নামের একটি পোলিশ টেলিভিশন চ্যানেলও। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ছয়টি মার্কিন উড়োজাহাজ পোল্যান্ডে পৌঁছেছে। গত শুক্রবার টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দুটি মার্কিন উড়োজাহাজ থেকে সামরিক সরঞ্জাম খালাস করতে দেখা গেছে।
এদিকে আগে থেকেই পোল্যান্ডে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনাসদস্য মোতায়েন আছে। চলতি সময়ে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হলেও বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন সেনারা কবে দেশটিতে পৌঁছাবেন, তা পরিষ্কার নয়। তাঁরা দেশটির কোথায় ঘাঁটি গাড়বেন, সেটিও জানা যায়নি। এ নিয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।