অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে দেশটির বৃহত্তম শিশু হাসপাতাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত আরও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
দিনের বেলা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই ধরনের হামলা বেশ বিরল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিয়েভের শত শত বাসিন্দাকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার হাসপাতালটিতে অতর্কিত রুশ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমা ও জাতিসংঘের নেতারা। ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তবে রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার স্থান থেকে পাওয়া নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লেখা এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘হামলায় শিশুদের হাসপাতাল এবং কিয়েভের একটি মাতৃত্ব কেন্দ্র, শিশুদের নার্সারি এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িসহ ১০০ টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য আমাদের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র কিয়েভের ওখমাতদিত হাসপাতালে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর রাজধানীতে সবচেয়ে ভারী হামলার অংশ ছিল এটি।’
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার সমস্ত অপরাধের জন্য অবশ্যই পুরোপুরি জবাবদিহি করতে হবে। মানুষের বিরুদ্ধে, শিশুদের বিরুদ্ধে এবং সাধারণভাবে মানবতার বিরুদ্ধে এই হামলা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘বিশেষভাবে মর্মান্তিক হামলা’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসবে।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে রাশিয়ার কাপুরুষোচিত ও বিকৃত হামলার জবাব দেব।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার নিষ্পাপ শিশুদের ওপর হামলাকে ‘জঘন্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।