ইংরেজি আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘জিন: মেময়র অব আন অক্টাজেনারিয়ান কানাডিয়ান বেঙ্গলি’ এর উন্মোচন পর্বে মঞ্চে লেখক ড. দিলীপ চক্রবর্তীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সংগঠক সুব্রত কুমার দাস, এনআরবি টেলিভিশনের সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা মেইলের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু, রাজনীতিক মহসীন ভুঁইয়া এবং উপস্থাপক লেখক তাসমিনা খান

কানাডা প্রতিনিধি : গত ২৭ আগস্ট টরন্টোর ডজ রোডে অবস্থিত কানাডিয়ান লিজিয়ন হলে অন্টারিওর বাঙালি সমাজের অগ্রগণ্য পণ্ডিতজন ড. দিলীপ চক্রবর্তীর আসন্ন ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আনন্দোৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ড. দিলীপ চক্রবর্তীর আত্মজৈবনিক ‘জিন: মেময়র অব আন অক্টাজেনারিয়ান কানাডিয়ান বেঙ্গলি’ ইংরেজি গ্রন্থের উন্মোচনও করা হয়। এই আয়োজনে ড. চক্রবর্তীর অনেক প্রিয়জন, আত্মীয়জন, বন্ধুজন উপস্থিত ছিলেন। বহুদিন পর কমিউনিটির প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন দিলীপ চক্রবর্তী। নিজের বক্তব্যে তিনি বারবার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন জীবন চলায় যে মানুষেরা ভ‚মিকা রেখেছেন তাঁদের প্রতি। নিজের লেখক হয়ে ওঠার পেছনে টরন্টোর বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সংগঠক সুবত কুমার দাসের প্রতি তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এনআরবি টেলিভিশনের সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা মেইলের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টুর সামাজিক কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করেন তিনি। বই উন্মোচন পর্বে মঞ্চে ড. দিলীপ চক্রবর্তীর সাথে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত কুমার দাস, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, রাজনীতিক মহসীন ভুঁইয়া এবং উপস্থাপক তাসমিনা খান।

সুবত কুমার দাস তাঁর স্বাগত বক্তব্যে নতুন এই আত্মজীবনীটি রচিত এবং প্রকাশিত হবার পেছনের গল্প শোনান। সুব্রত উল্লেখ করেন কীভাবে দিলীপ কানাডায় করোনা এবং কোলকাতায় ডেঙ্গুকে পরাজিত করে নিজের তেজকে প্রমাণ করেছেন। আয়োজকদের পক্ষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন শহিদুল ইসলাম মিন্টু। তিনি দিলীপের রসবোধ ও স্মৃতিশক্তির বিশেষ উল্লেখ করেন। লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী তাসমিনা খানের পরিচালনায় এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন গবেষক সুজিত কুসুম পাল। নতুন আত্মজীবনীটির উপর আলোকপাত করে তিনি সকল বাঙালি পাঠককে অনন্য এই বইটি পড়তে অনুরোধ করেন। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন অধ্যাপক অরুণাংশু হোর, কবি দেলওয়ার এলাহী, চার্টার্ড প্রফেশনাল একাউন্ট্যান্ট অসীম ভৌমিক এবং সুপরিচিত সমাজকর্মী ড সুশীতল সিংহ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে দিলীপ চক্রবর্তীর পছন্দের কবিতা উচ্চারণে ছিলেন প্রথিতযশা বাচিকশিল্পী শেখর গোমেজ। সংগীত পরিবেশন করেন অরুণাভ ভট্টাচার্য, ড. মমতাজ মমতা, করবী মৈত্র, নন্দিতা মজুমদার, ভ্যালেন্টিনা ভৌমিক, অমল দেব, ঈষাণ ভট্টাচার্য এবং দেবাশীষ দে। তবলায় ছিলেন অদ্রি ভট্টাচার্য। এছাড়া অমিত মুখোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যুগ্মভাবে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া দিলীপ চক্রবর্তীর ডাক নাম জিন। দেশভাগের উত্তাল সময়ে কৈশোরেই তাঁর পরিবার ভারতে চলে যান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে দুইবার এমএ ডিগ্রি লাভের পর তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করে অবসর গ্রহণের পর দিলীপ কানাডায় অভিবাসী হন।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমান আত্মজীবনীটি তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ। এই গ্রন্থের ভ‚মিকা লিখেছেন সুবত কুমার দাস। কলকাতার হর্নবিল প্রেস থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি ইতোমধ্যে এমাজনে উন্মুক্ত হয়েছে বিক্রির জন্য। এমাজন লিংক https://www.amazon.ca/dp/B0CC6TM2Y2।