Home আন্তর্জাতিক আম আমদানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ তাইওয়ান

আম আমদানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ তাইওয়ান

অনলাইন ডেস্ক : তাইওয়ান সোমবার চীনের বিরুদ্ধে ‘নির্বিচারে বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার’ অভিযোগ করেছে। এর আগে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বেইজিং তাইপের আমের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাইওয়ান থেকে আমদানি করা আমে কীটপতঙ্গ পাওয়া যাওয়ায় সোমবার থেকে নতুন নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হয়েছে বলে বেইজিং জানিয়েছে।

বেইজিং শনিবার দ্বীপের চারপাশে সামরিক মহড়া চালানোর পর আমদানি নিষেধাজ্ঞাটি আসে।

এর এক দিন আগে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই প্যারাগুয়ে সফর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিরতি নিয়ে ফিরে আসেন। চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে, স্বশাসিত দ্বীপের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সরকারি বিনিময়ের বিরোধিতা করে এবং প্রায়ই তাইওয়ানের নেতাদের মার্কিন সফরের প্রতি ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া অনুসারে, তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বলেছেন, ‘মূল ভূখণ্ডে প্রাসঙ্গিক আইন, প্রবিধান এবং মান অনুযায়ী, সিদ্ধান্তটি…একটি বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিসংগত জৈব নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।’

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে দাবি করে তাইপের কৃষি মন্ত্রণালয় বেইজিংকে সংলাপের মাধ্যমে একটি ‘যুক্তিসংগত সমাধান’ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বৈজ্ঞানিক সংলাপ ছাড়াই বাণিজ্যে নির্বিচারে বাধা দিতে চীনের একের পর এক অনুশীলনের জন্য আমরা গভীরভাবে হতাশ, যা আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’

প্রসঙ্গত, চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের বিভিন্ন কৃষি পণ্যের আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ২০২১ সালে বেইজিং তাইওয়ান থেকে আনারসের আমদানি স্থগিত করে। কারণ হিসেবে তারা ফলের মধ্যে কীটপতঙ্গ আবিষ্কার করার কথা জানিয়েছিল।

কিন্তু তাইপে ওই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে পদক্ষেপটিকে ‘অত্যাচার’ এবং ‘রাজনৈতিকভাবে চালিত’ বলে অভিহিত করেছিল।

এ ছাড়াও গত বছর চীন তৎকালীন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের চারপাশে বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, পাশাপাশি দ্বীপ থেকে কিছু ফল ও মাছের পণ্য নিষিদ্ধ করেছিল।

বেইজিং ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাইওয়ানের ওপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। কারণ দ্বীপটি চীনের অংশ ও বলপ্রয়োগে পুনরুদ্ধারের জন্য তার অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সূত্র : এএফপি

Exit mobile version