অনলাইন ডেস্ক : ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের খানবাড়ির সন্তান আবুল খান (৬০) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য পদে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার চাচাতো ভাই ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ম. মহিউদ্দিন খান দিপু এ তথ্য দেন।
তিনি জানান, রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আবুল খান। তিনি ৪০ বছর ধরে নিউ হ্যাম্পশায়ারের সিবরুকে সপরিবারে বসবাস করছেন। আবুল খান সম্ভ্রান্ত খানবাড়ির মরহুম মাহাবুব উদ্দিন খান কাঞ্চন ও মরহুম শাহানারা বেগমের বড় ছেলে। তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ারে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, জননিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে একজন বাংলাদেশি হিসেবে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক হিসেবে আবুল খানই প্রথম ব্যক্তি যিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি ১৯৬০ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তারা দুই ভাই দুই বোন। ছোট বোন ছাড়া পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তবে ছোট বোন রোজী খান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ভাইবোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়।
আবুল খান ঢাকার মুসলিম গভ. হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮৪ সালে পিরোজপুরের মর্জিয়া হুদা খানকে বিয়ে করেন। আবুল খান দম্পতির ছেলে আতিক খান ও মেয়ে নূসরাত জাহান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। সহধর্মিণী মর্জিয়া হুদা খানের অনুপ্রেরণায় আবুল খান নিউ হ্যাম্পশায়ারে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
আবুল খান যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পর নিউ ইয়র্ক শহরে প্রথমে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। ২০০০ সালে তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার সিটির সিবরুক শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয় করেন। এ ছাড়া সেখানে একটি গ্যাস স্টেশনও ছিল তার।