অনলাইন ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে আটকে গেছেন ১৩২ জন বাংলাদেশি প্রবাসী যাত্রী। আজ শনিবার ইমিগ্রেশন পার করতে গিয়ে তারা আটকে পড়েন। কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বাংলাদেশ বিমান বা দূতাবাস।
জানা গেছে, এয়ার অ্যারাবিয়া বিমানের একটি ফ্লাইট আবুধাবি পৌঁছানোর পর সেটির ৫১ জন যাত্রীকে আমিরাতের অভ্যন্তরে ঢোকার আগে আটকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে আবুধাবি পৌঁছানোর পর বিমানের একটি ফ্লাইটের ৮১ জন যাত্রীকে আটকে দেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ বিমানের আঞ্চলিক পরিচালক নিধান চন্দ্র বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘২২৫ জনের মধ্যে ১৪৪ যাত্রী আমিরাতের অভ্যন্তরে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন। বাকিদের আটকে দেওয়া হয়েছে।’
তবে কেন তাদের আমিরাতের অভ্যন্তরে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি নিধান চন্দ্র বড়ুয়া। তিনি ধারণা করছেন, আইসিএ অ্যাপ্রুভাল সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে যাত্রীদের আটকে দেওয়া হয়েছে। নিধান আরও জানান, শুধু বাংলাদেশ নয় পাকিস্তানসহ আরও একটি দেশের বেশ কয়েকজন যাত্রীকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আটকে থাকা যাত্রীরা বলছেন, তারা সবাই ইমিগ্রেশনের লাইনে ছিলেন। ১৪৪ জন যাত্রী চলে যাওয়ার পর তারা জানতে পারেন; ইমিগ্রেশনের সিস্টেমের মধ্যে আইসিএ পারমিশন সাবমিট করার জন্য দেখাচ্ছে। কিন্তু তাদের কারও কাছে আইসিএ পারমিশন ছিল না। যারা বের হয়েছেন তাদের কাছেও আইসিএ পারমিশন ছিল না বলেও জানান যাত্রীরা।
এক যাত্রী বলেন, আমি এখানে শুনতে পাচ্ছি আজকে থেকে নাকি আবুধাবিগামী যাত্রীদের আবার আইসিএ অ্যাপ্রুভাল লাগবে। আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কেন আটকে আছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ জুবায়েদ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে আমাদের সময়কে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি, আরব আমিরাত দূতাবাস ঢাকা, আবুধাবি ইমিগ্রেশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করতে পারবো।’
পাশাপাশি আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তা মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেন জুবায়েদ হোসেন। যাত্রীরা কেন আটকে আছেন, তিনি নিজেও তা স্পষ্ট বলতে পারেননি।