ভালোবাসা দিবসে

তোমার তামাটে রঙের লিপস্টিক
যেন আলোর ঝিলিমিল রাতের তারা
শরৎ রানীর ফাগুন মন আনমনা আত্মহারা
তোমায় দেখে শিহরণ, জাগে প্রণয়ের গীত
ঘুমভাঙা রাত কতো আর যাবে এইভাবে
ছলা কলায় হাজারো যুবকের বুকে হকিস্টিক।

নিয়েছো আপন করে তোমার হৃদয়ের মন্দিরে
মেলে দাও ডানা উড়ে যাই মেঘেদের দেশে
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে বেড়াবো আজ দুইজনে
তারায় তারায় খচিত হোক ফাগুনের ওই গুঞ্জনে
কোনো অযুহাত নয় আজ ভালোবাসা দিবসে।

আমাদের মিলন হবে

আমাদের দেখা হবে, কোন মিলন মেলায় নয়
নয় কোন আনন্দ আয়োজন… শান্তির সভায়
আমাদের দেখা হবে চোখে চোখে কথা হবে
কোন একদিন যুদ্ধের ময়দানে জীবনের তাগিদে
আনন্দের হিল্লোলে নয়, বোবা কান্নায়।

আমাদের মিলন হবে কোন এক ফাগুনে নয়
নয় হেমন্তের গোধূলি বেলায়
আমাদের মিলন হবে, মিছিলে মিছিলে নয়
নয় রঙিন আলোর পুষ্পসজ্জায়
আমাদের মিলন হবে হাজার মানুষের ভিড়ে
কোন এক মহা-শোক সভায়।

ওই দুটি ঠোঁট

তোমার ঠোঁটের কোণে
হোক না একটু চোট
তোমার হাসি জাদুর বাঁশি
হয় যে আমার মন উদাসী
যাক না কিছু নোট।

তোমার ওই দুটি ঠোঁট
কেনো যে দেয় আমায় চোট
শুনবে কী শব্দ হৃদয়ের বুদবুদ
মিলন যদি হয় হবে তা অদ্ভুত।

কতবার খেয়েছিলাম চোট
আমি হেসেছিলাম আর
তুমি লজ্জায় কুটকুট
তোমার আঙ্গিনায় নিশি ভোরে
জেলকেলি খেলার ছলে
বেঁধেছিলে কতবার বাহুডোরে।

বচন

সঠিক পথের আলোক বর্তিকা যে দেখাবে হায়,
সেই গুণীজন, সাদা মনের মানুষ পাওয়া দায়।
জীবন দিয়ে করতে পারো মরণ জ্বালার বোধ
নিলে নীল হলে সুনীল কেমনে করো অহংবোধ।

ভালোবাসার দামে কেনা নিষ্পাপ ইচ্ছেগুলো
হারিয়ে যেতে চায় যদি দেখায় তোমায় মুলো।
নীলাকাশে উড়িয়ে দিলাম কষ্টের যত ক্ষোভ
মাটির মানুষ মাটিতেই যাবে থাক প্রতিশোধ।
তুমি নেই তাই

তুমি নেই বলে
কোনো কিছু ভালো নেই
আকাশের রঙ, গোধূলির
লাল আভা, সাগরের জল
কলমের কালি, শরতের আকাশ
সবই আজ বিবর্ণ সবই আজ
ভালো নেই কবিতা আমার।

ভালোবাসার রঙে

তোমার কাছে যাহা ভালো
আমার কাছে সেটা না যে
গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজও
তোমার কাছে আজেবাজে

নিজের যেটা অপ্রয়োজন
সেইটাই কারো লাগে কাজে
কেউ কষ্ট দিয়ে মজা পায়
কেউ ভালোবাসতে সাজে।

কষ্ট দেয়ার স্বভাব যার
সেতো কষ্ট দিয়েই যাবে
ভালোবাসার রঙ ছড়িয়ে
তাকে তুমি কোথায় পাবে।

ছেলেদের কান্না

মন যদি আটকে যায়
এপাশ ওপাশ না তাকায়
জাত-পাত চুলোয় দিয়ে
জীবন মরণ ভুলে গিয়ে
দিবা-নিশি প্রেম খেলায়।

অন্তর দিয়ে ভালোবেসে
কি লাভ বলো দিন শেষে
লজ্জা যায় মাথাও ফাটে
ছেলেরাও যে কেমনে কাঁদে
চিপায় আর পড়লে ফাঁদে।

নিজেই যখন গল্পের নায়ক

চলো একটি গল্প লিখি, একটি গল্প
গল্প? নতুন গল্প —
ধুর বোকা, জীবের গল্প-তো এমনিতেই শেষ হচ্ছে না.. আবার নতুন গল্প, কেন…?
আরে… তুমি-তো নিজেই গল্প লেখো।
আরে না-আমি কি এমন গল্প লিখে-তে পারি

গল্পে গল্পে কত জীবনের চিত্র তুমি এঁকেছো
তোমার কল্পনার বালুচরে ঢেউ খেলানো বাতাসের শো শো শব্দের কারিশমায়।

নদীর বুকের জমে থাকা কষ্টের নোনাজলের বোবা কান্নার শব্দে
কত গল্প পেয়েছে নতুন মাত্রা।
শরতের আকাশের করুন আর্তনাদ দেখতে পেয়ে কত পাঠক গল্প
পড়া শেষ না করে বইয়ের মলাট বন্ধ করতে পারেনি।

তুমি কি জানো তুমিও একদিন গল্পের নায়ক হয়ে যেতে পারো।
সুতরাং আর বল না, আজ একটা গল্প লেখি …
চলো একটা গল্প লিখি।
মনের অজান্তে কখন যে নিজেই গল্পের মধ্যে ঢুকে পড়েছি,
কখন যে গল্পের নায়কের ভূমিকায় আমাকে আবিষ্কার করেছে সুবোধ।
বলব না

হয়তো কারো বদান্যতায়…; কারো না কারো বদান্যতায়
হয়তো আমার বন্ধু ! না হয় আমার শুভাকাঙ্খী !

হুম, আমি তো শুত্রুর সাথে বসবাস করেই যাচ্ছি জীবনের এতগুলো বসন্ত কেটে গেছে…